মাদারীপুর, ১১ জুলাই, এবিনিউজ : মাদারীপুরে সন্ত্রাসী, চাদাবাজ মেহেদী মোল্লা ও তার সহযোগীদেরকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজ গেটের সামনে এই মানববন্ধন করে। এরপর সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ এলাকাবাসী, সকল বক্তারা পুলিশ প্রশাসনের দৃস্টি আর্কশন করে বলেন। চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সীসহ যাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর কারী সন্ত্রাসী, চাদাবাজ মেহেদী মোল্লা ও তার সহযোগীদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে প্রয়োজনে আরো কঠোরতর আন্দোলনে মাঠে নামা হবে। কারন কোন সন্ত্রাসী চাদাবাজ আওয়ামীলীগের কর্মি দাবি করতে পারে না। আমরা মনে করি মেহেদী মোল্লা ও তার সহযোগিরা জামাত বিএনপির দোসর। তা নাহলে কিভাবে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ৩বার নির্বাচিত জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যানকে হত্যার উদেশ্যে পরিকল্পিত হামলাকরে। সেই সাথে সদর মডেল থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়।
উল্লেখ্য,পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশী জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মঠেরবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী মোল্লা তার লোকজন নিয়ে খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছিল। পাশাপাশি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সী বিরুদ্দে কুরুচিপুর্ন নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক শ্লোগান দিতেছিলো। এতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থদের সাথে মেহেদী মোল্লার সমার্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। খোয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান (মোহাম্মদ আলী মুন্সী) থাকা অবস্থায় হটাৎ চারদিক থেকে মেহেদী মোল্লা ও তার লোকজন হামলা চালায়। এই হামলার জেরে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে খোয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সীসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় মেহেদী মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গতকাল সোমবার সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদসহ চেয়ারম্যানের বিচার দাবী করে একটি মানবন্ধন করে। এতে ফুসে উঠে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ এলাকাবাসী। তারই প্রতিবাদে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। রিপন কাজী সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, তানভীর মাহামুদ আবির, জেলা ছাত্রলীগের নেতা সুজন জমাদ্ধার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, খোকন তালুকদার, কাওছার বেপারী সহ প্রমুখ।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে যে মামলাটি করছেন সেই মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। দুটি মামলার বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। আমরা আইনের পক্ষে আছি, কারো পক্ষেই নই।
এবিএন/সাব্বির হোসাইন আজিজজ/জসিম/রাজ্জাক