শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সিলেটে ধীরে নামছে বন্যার পানি, খুলেছে ৭০ স্কুল

সিলেটে ধীরে নামছে বন্যার পানি, খুলেছে ৭০ স্কুল

সিলেট, ১২ জুলাই, এবিনিউজ : সিলেটে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করায় বন্যা কবলিত ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫ উপজেলার ৭০টি স্কুলে পাঠদান শুরু হয়েছে। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে ১৩৯টি স্কুলের পাঠদান। সেসব স্কুলে বন্যার পানি কমতে শুরু করলে পর্যায়ক্রমে সেগুলোতেও পাঠদান কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বন্যার পানি বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্কুলের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। এমনকি কিছু কিছু স্কুলে যাওয়ার রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ২০৯টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে তার মধ্যে এখন ১৩৯টি স্কুল বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলোতে যথারীতি পাঠদান শুরু হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলোও পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বন্যায় আক্রান্ত ৭টি উপজেলায় ১৩৯টি স্কুল এখনো বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে যাওয়ায় চালু হয়েছে ৬৪টি স্কুল। তার মধ্যে বালাগঞ্জে বন্ধ থাকা ৫১টি স্কুলের মধ্যে চালু হয়েছে ৩টি, গোলাপগঞ্জে বন্ধ থাকা ৫৮টি স্কুলের মধ্যে চালু হয়েছে ৩৭টি, বিয়ানীবাজারে বন্ধ থাকা ২৯টি স্কুলের মধ্যে চালু হয়েছে ১৪টি, ফেঞ্চুগঞ্জে বন্ধ থাকা ১৮টি স্কুলের মধ্যে চালু হয়েছে ৬টি স্কুল নতুন করে বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং তার মধ্যে কয়েকটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, জকিগঞ্জে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ১৩টি স্কুল সেখানে এখনও কোনো স্কুলে পাঠদান শুরু হয়নি, ওসমানীনগরে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ১৯টি তার মধ্যে খুলেছে ১৬টি এবং দক্ষিণ সুরমায় বন্ধ হয়েছিল ১১টি সেখানে এখনও কোনো স্কুলে পাঠদান শুরু হয়নি।

এদিকে, সিলেটের বন্যায় প্লাবিত এলাকার পানি নামছে ধীর গতিতে। নদ-নদীর পানিও ঘণ্টায় ২/১ সেন্টিমিটার করে কমছে। জকিগঞ্জের আমলসীদে কুশিয়ারা পানি বুধবার সকালে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী এ বছর বন্যায় ৪ হাজার ৪৯১টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় বিভিন্ন রোগব্যাধি বন্যা কবলিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিলেটের ৮ উপজেলার ৪৬৬ গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ১৮ হাজার ঘরবাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসব এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বন্যার কারণে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৭৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

সিলেট সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের নিরাপত্তার জন্য সরকারিভাবে বালাগঞ্জ ৩টি, ফেঞ্চুগঞ্জ ৩টি ও বিয়ানীবাজারে ৫টি মোট ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে।

প্রতিটি উপজেলার মধ্যে সিলেট সদরে কর্মরত মেডিকেল টিমের সংখ্যা ১১টি, দক্ষিণ সুরমায় ১১টি, বিশ্বনাথে ১০টি, বালাগঞ্জে ৭টি, ওসমানীনগরে ৮টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০টি, গোলাপগঞ্জে ১৬টি, বিয়ানীবাজারে ১৬টি, জকিগঞ্জে ১০টি, কানাইঘাটে ১২টি, গোয়াইনঘাটে ১১টি, জৈন্তাপুরে ১১টি, কোম্পানীগঞ্জে ১০টি ও জেলা সদরে ৫টি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত