বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

মুন্সীগঞ্জ শহরে কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া

মুন্সীগঞ্জ শহরে কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া

মুন্সীগঞ্জ, ১৩ জুলাই, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ শহরে কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া। যত্র তত্র অপরাধ করে যাচ্ছে নির্বিঘেœ। মনে হচ্ছে তাদেরকে কিছু বলার বা শাসন করার কেউ নেই? সেই সুযোগে মুন্সীগঞ্জ শহরে হরগঙ্গা কলেজের আসপাস এলাকাতে চলছে প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চুরি ডাকাতি। এই ছিনতাই গুলো করছে ১৪/১৫ বৎসরের উঠতি বয়সের স্কুল পড়–য়া ছেলেরা। শহরের কলেজ এলাকায় নতুন কোন লোক পেলেই তার কাছ হতে নিয়ে নেন তার মোবাইল, হাত ঘড়ি, মানি ব্যাগ সহ মুল্যবান যাহা পায়। সবচেয়ে সহজ কেনো এই কলেজ এলাকা ?

নতুন নতুন ছাত্র দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসে মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজে পড়তে। আর এই নতুন লোকদের পরতে হয় উঠতি বয়সের ছিনতাইকারিদের কবলে। এমন সমস্যায় পরতে হয় হরগঙ্গা কলেজে পড়তে আসা পাবনা জেলার সাথিয়া থানার বড় পাথাইর হাট গ্রামের মো. সেলিম হোসেন এর পুত্র মোঃ সোলামান হোসেন।

মোঃ সোলাইমান হোসেন জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার স্কুল পড়–য়া ছিনতাই কারীরা স্টেডিয়ামের দশর্ক গেলারীতে দুপুর ১২টার সময় আমাকে একা পেয়ে পকেটে গাজার পোটলা ভরে দিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রথমে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে জানান পরে বলেন এক হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দিবো, তাতেও অক্ষম হলে আমার হাতের মোবাইল ও পকেটে থাকা ১০ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী অপূর্ব ও তার সাথে থাকা আরো ৪ জন। আমাকে ছিনতাইকারীরা প্রচন্ড মারধর করলে আমি স্টেডিয়ারে বাহিরে দৌড়ে আমার পরিচিত কাউসার ভাই এর দোকানে আসি আর ঐ দোকানদারের কাছেই সিগারেট কিনতে আসে অপূর্ব নামক ছিনতাইকারী। ছেলেটি আরো বলেন, আমি দোকান্দার কাউসার ভাই কে বিষয়টি জানালে সে অপূর্ব কে আমার পারিবারিক বিষয়টি বলে আমার মোবাইলটি উদ্ধার করে দেন। আমি সরকারী হরগঙ্গা কলেজে এইচ, এস, সি প্রথম বর্ষে এ বছরের জুন মাসে ভর্তি হই বিজ্ঞান বিভাগে রোল ১১৯২, বর্ষ ২০১৭-২০১৮ সন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ছেলেগুলোর কারণে আমাকে টিসি নিয়ে চলে যেতে হলো মুন্সীগঞ্জ থেকে।

কে এই অপূর্ব ? ঘটনার পর পর মাঠপাড়া স্টেডিয়াম ২নং দোকানে একাদিক ব্যক্তির সমালোচনায় জানা যায় , এখানে জেলা পুলিশ সুপারের বাস ভবন থাকা স্বত্ত্বেও স্কুল পড়–য়া ছেলেরা হাজারও অপকর্ম করছে। কারো কোন কিছুই বলার বা করার নেই বলে অভিযোগ উঠে। খোজ নিয়ে জানা যায়, অপূর্ব মুন্সীগ্ঞ্জ কে, কে গভঃ ইনিঃ ১০ম শ্রেনীর কমার্স বিভাগের ছাত্র। তার সাথে ছিলো আরো ৪জন তাদের নাম পাওয়া যায় নাই।

ইতিপূর্বে ঈদ আনন্দে নারায়নগঞ্জ থেকে সাত জন ভ্রমন করতে আসলে ভ্রনকারী সাতজনের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা যার কাছে যা সছিল সব ছিনিয়ে নেয় এই অপূর্ব বাহিনী। পরে শহর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগর সবকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হলেও সম্পূর্ণ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন সাগর জানান এই কিশোদের যদি এই মুহুর্তে সামলানো না যায় তবে আমাদের সমাজে এরাই এক সময় কাল হয়ে দাঁড়াবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট জানালে, তিনি বলেন এ বিষয়টি জানলাম তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/ আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত