![নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানির অভিযোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/14/narail@abnews_88114.jpg)
নড়াইল, ১৪ জুলাই, এবিনিউজ : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মহিষাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান ফকিরকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আতিয়ার রহমান জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে চাকুরি ফেলে এলাকায় চলে আসেন। ২৫ মার্চ থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নড়াইলের লোহাগড়া থানা এলাকা এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া এলাকা পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতার পর কর্মস্থলে ফিরে যান। পরবর্তীতে আতিয়ার রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পান। অথচ, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাচাইকালীন লোহাগড়ার মহিষাপাড়ার প্রতিপক্ষের লোকজন আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ তুলে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত সনদে আতিয়ার রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ১৯৯৯ সালে ২২ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত সনদের ক্রমিক নম্বর ১৪৬৪৩। এছাড়া ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সচিব স্বাক্ষরিত সনদেও তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটেও আতিয়ার রহমানকে গেজেটভূক্ত (ক্রমিক নম্বর ১২২১) করা হয়। এ ব্যাপারে মুজিব বাহিনীর তৎকালীন লোহাগড়া থানা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামান বলেন, আতিয়ার রহমান ১৯৭১ সালে লোহাগড়া, ভাটিয়াপাড়া, কালনাসহ নড়াইলের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন। মল্লিকপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জাহিদুল হোসেন বলেন, আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমে গত ১১ ও ১২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার খবর দেখে হতবাক হয়েছি। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে এ ধরণের অপপ্রচার খুবই দুঃখজনক। গ্রাম্য কোন্দলের কারণে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে হেয় করার মানে হয় না ! এদিকে, লোহাগড়ার মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর শেখ, দেলবার মোল্যা, নুরু মিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ১১ জন সহযোদ্ধা আতিয়ার রহমানকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অপপ্রচার করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লোহাগড়া উপজেলা কমান্ডার ফকির মফিজুল হক বলেন, আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাচাইয়েও আতিয়ার রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন।
এবিএন/সৈয়দ খায়রুল আলম/জসিম/নির্ঝর