বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কালের কন্ঠ ও যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে কৃষক লীগ নেতার জিডি

কালের কন্ঠ ও যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে কৃষক লীগ নেতার জিডি

কালের কন্ঠ ও যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে কৃষক লীগ নেতার জিডি

মুন্সীগঞ্জ, ১৪ জুলাই, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কৃষকলীগ নেতার হুমকিতে ৩ মাস ধরে এলাকা ছাড়া একটি পরিবার সংবাদটি গত ১০ জুলাই কালের কন্ঠ ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। উপজেলার বীরতারা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আজগর আলী ওরফে মেন্দী মাদবর বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় দৈনিক কালের কন্ঠে ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরিটি (জিডি) করেন। ।জিডিতে তিনি উল্লেখ করেণ তার হুমকিতে তিন মাস ধরে এলাকা ছাড়া হয়ে থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। একারণে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। সংবাদে প্রকাশিত ওই কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলার আসামী হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হলেও তিনি জিডিতে তা উল্লেখ করেননি।

তিন মাস ধরে এলাকা ছাড়া বীরতারা গ্রামের ওই পরিবারটির প্রধান আব্দুল হাকিম জানান, শুধু মাত্র একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমির দলিলে সাক্ষী হওয়ার করণে কৃষক লীগ নেতা আজগর আলীর হুমকিতে ৩ মাস ধরে তিনি এলাকা ছেড়ে রয়েছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকে তাকে আরো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনি প্রচন্ড মানসিক চাপে অসুস্থ্য হয়ে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তিন মাস পূর্বে হুমকি পাওয়ার কয়েকদিন পরই গত ২ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ আদালতে আব্দুল হাকিম মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে শ্রীনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৯ সালের মে মাসে বীরতারা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা কার হয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহানকে। এসময় ইষ্ট বেঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জালাল মাষ্টারের চোখ উপরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আজগর আলী ওই মামলার অন্যতম আসামী।

বীরতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিম হোসেন খান জানান, জমাজমি সংক্রন্ত ঝামেলার কারণে আব্দুল হাকিম ৩ মাস ধরে এলাকা ছাড়া বলে শুনেছি। তিনি

বলেন, ‘তিনমাস ধরে এলাকা ছাড়া একটি পরিবার’-এই শিরোনামে গত ১০ জুলাই সংবাদটি কালের কন্ঠের ১৮ পাতায় প্রকাশিত হয়। আব্দুল হাকিম যে এলাকা ছাড়া তা তিনি গত ২ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেই বলেছেন। কালের কন্ঠের ওই প্রতিবেদনে এই মামলা ও আব্দুল হামিরে বক্তক্যের কথা উল্লেখ করেই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের কোন নিজস্ব বক্তব্য নেই। তাছাড়া ওই সংবাদে আজগর আলী ওরফে মেন্দী মাদবরের বক্তব্যও উল্লেখ ছিল। তাই থানা কি করে এ রকম জিডি নিলেন তা বোধগম্য নয়।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন জানান, জিডির পূর্বেই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি শ্রীনগর থানার ওসি (অপারেশন) কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকলীগ নেতার জিডির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পত্রিকা দুটিতে প্রাকাশিত সংবাদ শ্রীনগর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেই। কিন্তু সাংবাদিদের বিরুদ্ধে জিডি হয়েছে কিনা জানা নেই। বিশেষ ডিউটিতে এলাকার বাইরে আছি। শনিবার ফিরে এসে জিডি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিব।

এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত