শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • সোনাগাজীতে গ্রেফতারের ৬ দিন পর শীর্ষ জলদস্যু কে আদালতে প্রেরণ

সোনাগাজীতে গ্রেফতারের ৬ দিন পর শীর্ষ জলদস্যু কে আদালতে প্রেরণ

সোনাগাজীতে গ্রেফতারের ৬ দিন পর শীর্ষ জলদস্যু কে আদালতে প্রেরণ

ফেনী, ১৯ জুলাই, এবিনিউজ : সোনাগাজীতে গ্রেফতারের ৬ দিন পর আইনশৃংখলা বাহীনির তালিকাভুক্ত আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য ও উপকূলীয় শীর্ষ জলদস্যু কমান্ডার হত্যা,ডাকাতি,খুন সহ ১২ মামলার আসামী রফিকুল ইসলাম (৩৫) কে চুপিসারে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে মডেল থানা পুলিশ। এরপূর্বে গত ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে তাকে উপজেলার চরছান্দিয়া ইউপির পুরাতন সওদাগর হাট সংলগ্ন কাশেম মেস্তরীর বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়েছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। যদিও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা চাঁন মিয়ার দোকান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাধারনত শীর্ষ অপরাধীকে গ্রেফতার করা হলে ওসি হুমায়ুন কবির মোবাইলে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করে অথবা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অবগত করে কিন্তু জলদস্যু কমান্ডার রফিকের গ্রেফতার ও আদালতে প্রেরনের বিষয়ে তার রহস্যজনক আচরন অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে,জলদস্যু কমান্ডার রফিক প্রভাবশালী যুবদল নেতার পৃষ্টপোষকতায় সোনাগাজীর উপকুলীয় অঞ্চলে মুর্তিমান আতংকের নাম।গত ৫ জানুয়ারী ১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে ও পূর্বে রফিক তার বাহীনি নিয়ে চরছান্দিয়া,চরদরবেশ ও সোনাগাজী সদরে ভয়ংকর ত্রাসের সৃষ্টি করে।আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা,বাড়ী ঘর লুট করে তাদের এলাকা ছাড়া করে।২৪ অক্টোবর ১৩ সালের বিকালে রফিকের নেতৃত্বে শতাধীক জলদস্যু চরছান্দিয়ার ওলামাবাজারে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে।তাদের গুলি বর্ষনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বের রাতে জলদস্যু কমান্ডার রফিক বাহীনি একযোগে ইটালি মার্কেট ভোটকেন্দ্র,সওদাগর হাট কেন্দ্র ও ৮ নং স্লুইজ গেট কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।এসময় তারা পুলিশের অস্ত্র ও ব্যালেট বাক্স লুট করে। সেসময় তাদের গুলিতে পুলিশ,আনচার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

তার বিরুদ্ধে থানায় ৫টি ডাকাতি, ৩টি অস্ত্র ও ২টি চাঁদাবাজির,ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসযোগের অভিযোগে ১২ টি মামলা রয়েছে। সে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। সোনাগাজীতে একের পর এক কথিত বন্দুক যুদ্ধে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ও পঙ্গুত্ববরন করলেও শীর্ষ জলদস্যু কমান্ডারের গ্রেফতার ও আদালতে প্রেরন নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক ভুমিকায় ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের ভাবিয়ে তুলেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে সরকার দলের যারা কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত ও পঙ্গুত্ববরন করেছে তাদের অনেকের নামে গ্রেফতারের পূর্বে কোন মামলা ছিলোনা।

আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবী,স্থানীয় প্রশাসনের কয়েক কর্তা ব্যাক্তির সাথে বিএনপি ও যুবদলের কয়েক নেতার দহরম মহরম সম্পর্কের কারনে সরকার সমর্থকেরা ক্ষতিগ্রস্থ ও বিএনপি জামায়াত সমর্থিত অপরাধীরা নিরাপদে রয়েছে।বিষয়টি জরুরীভাবে খতিয়ে দেখার জন্য জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা প্রশাসনের প্রতি তারা জোর দাবী জানান। এ বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে বলে জানান।

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত