বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সাটুরিয়ায় শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে

সাটুরিয়ায় শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে

মানিকগঞ্জ, ১৯ জুলাই, এবিনিউজ : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে ভাঙ্গন। উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গা নদীর ভাংঙ্গনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি, কাচা পাকা সড়ক, ফসলি জমি বাশঝাড়।

আর ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনের কারনে হুমকির মধ্যে আছে উপজেলার ৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ২টি বাজার, বড় ব্রিজ, কবর স্থানসহ বহু স্থাপনা।

বাড়ি হারা শতাধিক পরিবারের কয়েক শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অন্যানের বাড়ি ও খোলা আকাশের নিচে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে না খেয়ে দিন পাড় করলেও এখন পর্যন্ত তালিকা ছাড়া কোনো কিছু মিলেনি ওই পরিবার গুলোর।

সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষার মৌষুমের শুরুত থেকেই ধলেশ্বরী নদীতে ব্যপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অসহায় মানুষ গুলি বাড়ি ঘর ভেংগে যাওয়ায় অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। বরাঈদ ইউনিয়নের ছনকা, বরাইদ, গোপালপুর ও পাতিলাপাড়া গ্রামে বেশী নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

বরাঈদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হারুনার রশিদ জানায়, বিগত এক সপ্তাহে তার ৪টি গ্রামের ৬০টি বাড়ি ধলেশ্বরী নদী কেড়ে নিয়েছে। যে ভাবে প্রতিদিন নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, তাতে যে কোনো সময় ছনকা বাজার ও ছনকা ছাগলের হাট, ছনকা বাজার মসজিদ, ছনকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাতিলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, বরাইদ গ্রামের ফয়জুননেছা উচ্চ বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভনা রয়েছে।

অপরদিকে তিল্লি ইউনিয়নের আয়নাপুর গ্রামে ২০টি ও তিল্লি গ্রামের ১০টি বাড়ি ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গায় বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৬ শত শতাংশ ফসলি জমি ও দক্ষিণ আয়না পুর এর সাথে পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার সাথে সংযোগ সড়কের এক কিলোমিটার সড়কও নদী কেড়ে নিয়েছে। এতে সাটুরিয়ার তিল্লি ইউনিয়নের সাথে দৌলতুপর উপজেলার যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

তিল্লি ইউনিয়রে চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম জানায়, তার ইউনিয়নের জেলার দুই নদী ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গা প্রবাহিত হয়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্থানে ভাঙ্গন হচ্ছে। ভাঙ্গনের হুমকির মধ্যে রয়েছে তিল্লি উচ্চ বিদ্যালয়, তিল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিল্লি বাজার ও তিল্লির বড় ব্রিজ।

আর ১০০ মিটার ভাঙ্গন অতিক্রম করলেই জেলা শহরের সাথে তিল্লির পাকা সড়কও ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। তবে সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা এখনও পৌঁছায় নি বলেও স্বীকার করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।

সরেজমিনে এ তিনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙ্গন কবলিত পরিবার গুলি সবচেয়ে কষ্টে আছে। বিগত এক সপ্তাহে শতাধিক বাড়ি ভাঙ্গনের স্বীকার মানুষগুলি খোলা আকাশের নিচে টিন ফেলে ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে তারা পড়েছে বিপাকে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানায়, আমরা ওই সব নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এবিএন/সোহেল/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত