![বর্ষাকালের ৬ মাসই বন্ধ থাকে মদনগৌরী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/21/abnews-24_89485.jpg)
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২১ জুলাই, এবিনিউজ : প্রতি বছর বর্ষাকালের ৬ মাসই বন্ধ থাকে হাকালুকি হাওরের মধ্যখানে ভুকশিমইল ইউনিয়নে অবস্থিত মদনগৌরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। হাওর এলাকার এ স্কুলটি পাকাকরনের সময় সমতল থেকে অনেক নীচু জায়গায় পাকা ভবনটি করার ফলে প্রতি বছর বর্ষা আসতেই স্কুল পানি উঠে পড়ার ফলে ক্লাস নিতে পারার দরুন বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। এ অভিযোগ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি,অভিবাবক ও শিক্ষকদের। আর চলতি বছর ২৮ মার্চ থেকে বন্যায় বিদ্যালয়ে যে পানি উঠেছিল;বর্তমানে বন্যার প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পথে এখন বিদ্যালয়ের ভিতরে ৫ ফুট পানি রয়েছে। গত ১৭ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসার যখন বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যান তখন নৌকার মাঝি নৌকা নিয়েই স্কুলের ভিতরে ঢুকতে পেরেছেন। বিদ্যালয়ে ৫ ফুট পানি থাকায় নৌকা নিয়ে প্রবেশ করতে কোন সমস্যা হয়নি। ফলে এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।]
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা অভিযোগ করে বলেন,মদনগৌরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নি¤œভূমিতে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা পাকা বিল্ডিং প্রতি বৎসর বর্ষা মৌসুমে পানিতে নিমজ্জিত হয়। বন্যা হলেতো আর কোন কথাই নেই, বিদ্যালয়ে প্রায় ৫ ফুট পানি থাকে। ফলে বিদ্যালয়টি ডেএেৎ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউ.পি চেয়ারম্যানের নিকট ধর্ণা দিলেও কোন লাভ হয়নি। কর্ণপাত করছেন না তারা। ফলে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের লেখাপড়া সঠিক ভাবে চালিয়ে যেতে পারছে না। ঝরে পড়ছেন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ১৯০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও পূর্বে এ সংখ্যা আরও বেশী ছিল বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম ।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো:আব্দুল কাদির অভিযোগ করে বলেন, মদনগৌরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অনেক পুরোনো। ১৮৮২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা হয়। পাকার ভবন হয় ১৯৯৪ সালে। কিন্তু পরিকল্পনা বিহীন হাওরের মাঝখানে একটি পাকাভবন যেখানে সমতল থেকে কমপক্ষে ৫/৬ ফুট ওপরে থেকে করার কথা সেখানে এ বিদ্যালয়ের পাকার কাজ শুরু করা হয়েছে সমতলের সমান জায়গা থেকে। ফলে বর্ষাকাল আসলে প্রতিবছরই স্কুল বন্ধ ঘোষনা করতে হয়। আর চলতি বন্যায়তো একেবারে ভয়ানক অবস্থা। ৪ মাস থেকে স্কুল বন্ধ রয়েছে। আরও যে কত মাস বন্ধ থাকবে তা বলা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন,তৎকালীন সময়ে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফলতিতে সামান্য টাকা বাচাঁতে এ ধরনের অনিয়ম করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো: গোলাম রাববী জানান, তিনি গত ১৭ জুলাই সরেজমিনে নৌকাযোগে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিস্মিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের জানালা পর্যন্ত পানি। স্কুলটির ভবনের অবস্থাও খারাপ। তাই বিদ্যালয়টি আগামী শুষ্ক মৌসুমে আধুনিক ভবন করার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন বলে তিনি জানান।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/তোহা