![মানিকগঞ্জে পাগলা কুকুরের উপদ্রব : আতঙ্কে মানুষ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/22/abnews-24.bb_89659.jpg)
মানিকগঞ্জ, ২২ জুলাই, এবিনিউজ : হটাৎ করেই মানিকগঞ্জে পাগলা কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন পাগলা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। মাত্র এক দিনে গতকাল শুক্রবার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে কমপক্ষে ৬৫ জন। এ ছাড়াও জেলার ৭ টি উপজেলায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ পাগলা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে। হঠাৎ কুকুরের আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে পরেছে এলাকার মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলার পেচারকান্দা, বানিয়াজুরি, বান্দুটিয়া, বেউথা, জয়রা, সেওতা, গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত ৬৫ জন মানুষ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। একদিনে একসঙ্গে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও হিমশিমে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসতে থাকে একে একে আক্রান্তরা। মুহূর্তের মধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে ভরে যায় আক্রান্ত মানুষে। এ সময় চিৎকার ও আর চেঁচামেচিতে হিমশিমে পড়ে চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জর“রি বিভাগ ছাড়িয়ে চিকিৎসা দিতে হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। আক্রান্তরা জানায়, হঠাৎই পেছন থেকে এসে কামড়িয়ে পায়ের মাংস তুলে নিচ্ছে পাগলা কুকুর। ক্ষতবিক্ষত করেছে শরীরের বিভিন্ন অংশ। জর“রী বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাজেরা খাতুন জানায়, এক সঙ্গে কুকুরে কামড়ানো এতো রোগী তারা এর আগে দেখেন নি। আক্রান্তদের ক্ষত স্থানে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে প্রত্যেককে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান জানায়, শুক্রবার সারা দিনে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ানো মোট ৬৫ জন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই। আহতদের মধ্যে কারো অবস্থাই গুরুতর নয়। সবাই ভ্যাকসিন ইনজেকশন নিয়ে ঘরে ফিরে গেছে। এ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই কুকুরে কামড়ানো রোগী আসছে হাসপাতালে। সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. রিফাত মজিদ শনিবার দুপুরে জানায়, জাহিদুল (৫) নামে এক শিশুকে কুকুরে কামড় দেওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম জানায়, মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় কুকুর আতঙ্কে রয়েছে মানুষ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ৭/৮ বছর ধরে কুকুর মারা যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে কুকুর নিধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞা কথা বলে কুকুর মারতে নিষেধে করেছে। তিনি আরো বলেন, যে হারে কুকুর বৃদ্ধি পেয়েছে এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু একটা করা উচিত। পৌর এলাকায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় কুকুরে আক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও এদের নিধন করতে পারছি না কোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারনে।
এবিএন/সোহেল রানা খান/জসিম/তোহা