শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • শিশুদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ মুন্সীগঞ্জ পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যায়ল যেন কতৃপক্ষের বিষ-ফোড়া

শিশুদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ মুন্সীগঞ্জ পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যায়ল যেন কতৃপক্ষের বিষ-ফোড়া

শিশুদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ মুন্সীগঞ্জ পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যায়ল যেন কতৃপক্ষের বিষ-ফোড়া

মুন্সীগঞ্জ, ২৩ জুলাই, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়টি জেলার অন্যতম শিশুদের বিদ্যালয়। যেখানে ভর্তি করা হয় বাছাইকৃত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। এই বিদ্যালায়ের নামদাম বহু পুরানো। জেলার সর্বশ্রেষ্ঠ একটি প্রাথমিক বিদ্যাপিঠ হিসেবে সকলে জানে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা এতোই নোংরা যে না দেখে বুঝার কোন উপায় নাই। ছাত্র-ছাত্রীদের টয়লেট দেখলে বুঝা যায় কতোটুকো অসাস্থ্যকর, দু-গন্ধে আচ্ছন্ন।

অপরদিকে এই বিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারে গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকাটাও কষ্টকর। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণ এখান দিয়ে দুর্গন্ধের কারণে নাকে রুমাল দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন। সরেজমিনে শনিবার ঘুরতে গিয়ে দেখা যায় পৌর মার্কেটের পিছনে স্কুলটির প্রবেশদ্বারে পথচারীরাও মলমূত্র ত্যাগ করে দুর্গন্ধ করে ফেলেছে। চলাচল করা খুবই কষ্টকর। পরবর্তীতে ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহৃত টয়লেট দুইটির একটি বন্ধ অপরটি খোলা। কিন্তু ঐ টয়লেটে যাওয়ার মতো কোন পরিবেশ নেই। মলমূত্র যত্রতত্র ত্যাগ করে পরিবেশ দুষিত করে ফেলেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ উদাসীনতারই পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।

স্কুলটিতে যারা চাকুরী করেন তারাও যেন দায়সারা চাকুরী করেন। এটা যে পরিস্কার করা প্রয়োজন সেই বোধটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন তারা। নাম না বলা শর্তে বেশ কিছু গার্ডিয়ান অভিযোগ করে বলেন এই টয়লেট বাধ্য হয়ে ছোট ছোট শিশুরা ব্যাবহার করছে বিদ্যালয়ের এই করুণ দশা আগে বুঝলে আমাদের শিশুদের এখানে ভর্তি করাতাম না। এখানকার কোন কিছুই বিদ্যালয় কতৃপক্ষ দেখবাল করে না। তিনি আরো বলেন, মেইন গেট হতে শ্রেণি কক্ষে যাবে তাও বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ শ্রমিকরা নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে আটকিয়ে কাজে মসগুল। রাস্তার মাঝে রড, লোহার দাড়ালো প্যারেগ, পাত ইত্যাদি বিপদ জনক অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। টয়লেটের গন্ধের সাথে আবার কোন জীবযন্তু মরে পঁচে গন্ধ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মোঃ হাবিবুর রহমান (৩৮) জানান তাহার মেয়ে অত্র বিদ্যালয় পড়ছেন কিন্তু এমন একটি নামী দামী বিদ্যালয় যেখানে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে আমার মেয়ের অবস্থান ছিলো ভালো, আর ভালো বিদ্যালয়ের যে কি গুন তা আমি ভালো করেই বুঝতেছি। মাসে ৩/৪ বার ডাক্তার দেখাতে হয়। কেন হয় তাহার ফেক্টরী এখানেই, দেখুন বলে টয়লেটির সামনে নাকে রোমাল দিয়ে দেখান গন্ধের কি করুন অবস্থা। এর মাঝে কি করে এই শিশুদের শিক্ষা দেন? দুঃখ করে বলেন এর কি কোন সমাধান নেই?

এ বিষয় পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষন বিদ্যালয় প্রধান সুপারেন্ট রফিকুল ইসলামাকে অফিস সময় গিয়ে না পেয়ে তাহার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিষয় টি জানালে তিনি বলেন আপনার কাছে কি কেউ অভিযোগ করছেন গন্ধের ব্যাপারে? আর বিদ্যালয়ের কাজ করছে আমি কি করবো বলেন? আমার কিছু করার নাই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/ইমরান

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত