শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজী, গরু বিক্রি করে চাঁদা আদায়

ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজী, গরু বিক্রি করে চাঁদা আদায়

ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজী, গরু বিক্রি করে চাঁদা আদায়

ঝালকাঠি, ২৬ জুলাই, এবিনিউজ : সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে স্থানীয় কুচক্রিরা ষাটোর্ধ এক দরিদ্র টেম্পু চালককে ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় একমাত্র সম্ভল গোয়ালে গরুটি বিক্রি করে চাঁদাবাজী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গভীর রাতে স্বামী পরিত্যাক্তা নারী কে ঘরে ডুকিয়ে দিয়ে এ চক্রটি নারী কেলেংকারীর অভিযোগের মাধ্যমে ঘায়েল করে সাদাষ্টাম্পে সাক্ষর দিতে বাধ্য করে ও পরের দিন গরু বিক্রি করিয়ে দাবীকৃত চাঁদা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগে জানা গেছে।

গত রবিার দিবাগত রাত ১টার দিকে নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের শেখেরকাঠি গ্রামে এঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনায় জড়িত স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য এছাহাক মেম্বারকে গত ২৪ জুলাই সোমবার সকালে নলছিটি থানা পুলিশ আটক করলেও পরে বিকালে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ঐ গ্রামের বাসিন্ধা টেম্পু চালক তৈয়ব আলীর (৬৪) একমাত্র সম্ভল অর্ধলক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি বলদ গুরু হাতিয়ে নিতে সাবেক ইউপি সদস্য এছাহাক মেম্বার ও স্থানীয় বেল্লাল হাংয়ের পুত্র গাজা ব্যবসায়ী রাসেল ওরফে গাজা রাসেল কিছু দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। স্ত্রী-সন্তানরা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে গত রবিবার গভীর রাতে এছাহাক মেম্বার ও গাজা রাসেলের নেতৃত্বে ৪/৫জন স্থানীয় মোহাম্মদ সরদারের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা লাইলী বেগমকে কৌশলে তৈয়ব আলীর ঘরে ডুকিয়ে দিয়ে তারাও সেখানে হাজির হয় ও নারী কেলেংকারীর সময় হাতেনাতে আটকের নাটক সাজায়।

এসময় কুচক্রিরা মিটমাটের অজুহাতে ৩০ হাজার টাকা দাবী করলে ষাটোর্ধ তৈয়ব আলীর তার কাছে কোন টাকা নেই বলে আকুতী জানায়। পরে গাজা রাসেল তার সাথে আনা একটি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পরের দিন সকালে ধার নেয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকা দাবী করে ও তাদের সাথে করে এক গরুর দালালকে নিয়ে আসে। এক পর্যায় তারা দরিদ্র তৈয়ব আলীর অর্ধলক্ষাধিক টাকা মূল্যের বলদ গরুটি মাত্র ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য করে সেই টাকাও পাওনা পরিশোধের নামে কুচক্রিরা হাতিয়ে নয়।

এক পর্যায় গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে নলছিটি থানার এসআই ফিরোজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে বিষয়টি জানতে পেরে এছাহাক মেম্বারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও বাকীরা গাডাকা দেয়। পরে এ চক্রের মদতদাতারা দুপক্ষকে আপোশ মিমাংসার নামে পুলিশকে ম্যানেজ করে আটক এছাহাক মেম্বারকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয় বলে সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার এসআই ফিরোজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ সুলতান মাহমুদের সাথে আলাপকালে এছাহাক মেম্বারকে আটকের কথা স্বীকার করে জানায়, এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত