![একজন জনবান্ধব কর্মকর্তা ঘিওরের এসিল্যান্ড সাঈকা সাহাদাত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/26/manikgonj-saika@abnews_90521.jpg)
মানিকগঞ্জ, ২৬ জুলাই, এবিনিউজ : সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব ও অভিযোগই কেবল শোনা যায় নিত্য। তবে তাদের মাঝে বতিক্রমও পাওয়া যায় অনেক জনকে। যারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থারস্থল হয়ে ওঠে। নিজের অান্তরিক সেবা দ্বারা হয়রানি থেকে মুক্তি দেন মানুষকে, নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তোলেন জনবান্ধব। তেমনই একজন ঘিওরের এসিল্যান্ড সাঈকা সাহাদাত। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার এই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা সাহাদাত মাত্র কয়েক মাসে এখানে সবার কাছে জনবান্ধব কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন।
ঘিওরের এসিল্যান্ড সাঈকা সাহাদাত তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যে তিনি জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
ঘিওর উপজেলার ভুমি অফিস থেকে অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ করে মডেল ভূমি অফিসে রুপান্তরিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে তিনি। ঘিওর উপজেলার ভুমি অফিসে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা সাহাদাত যোগদানের পর উপজেলার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে গতিশীল হয়েছে কাজ, দুর হয়েছে ভূমির মালিকদের হয়রানি ও ভোগান্তি।
ঘিওর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা সাহাদাত ৩১তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য।
ছোট বেলা থেকেই মেধাবী সাঈকা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে প্রথমে ৩০ তম বিসিএস দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ লাভ করে। পরবর্তীতে ৩১ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের পরীক্ষায়উত্তীর্ণ হয়। সফলতার সাথে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ট্রেনিং সমাপ্ত করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করে। ঘিওর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যোগদানের অাগে তিনি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
ঘিওর উপজেলায় অাগে যেখানে ছিল ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা সাহাদাত যোগদানের পর সেখানে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করে। তার নেতৃত্বে ঘিওর ভূমি অফিসের সব নৈরাজ্য দূর হয়ে সেখানে তৈরি হয় আস্থার পরিবেশ। ঘিওর উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে একজন জনবান্ধব ও সৎ কর্মকর্তা ইতিমধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা সাহাদাত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গত ১৯ জুন ঘিওরের মাইলাগি আশ্রয়ণ প্রকল্প অবস্থা সম্পকে খোজ নিতে নিজে চলে যান অাশ্রয়ন প্রকল্পে। সে থাকা পরিবার গুলোর প্রতিজনের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা গুলো নিজে নোট করেন সমাধানের জন্য যা ইতি মধ্যে কতৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হয়েছে।
অাশ্রয়ন প্রকল্পের কয়েক বাসিন্ধা জানায় অাগে কোন স্যার এসে এভাবে অামাদের ঘরে বসে সমস্যার কথা শুনেন নি।
ঘিওরের অাতোয়ার রহমান জানায়, অাগে ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হতো না। বর্তমান এসিল্যান্ড যোগদানের পর থেকে ভূমি অফিসের অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। এখন নিদিষ্ট সময়ে টাকা ছাড়া সেবা পাচ্ছে স্থানীয় জনগন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘিওরের কয়েকজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী জানায়, বর্তমান এসিল্যান্ড স্যার যোগদানের পর থেকে অামাদের বলে দিয়েছেন, সেবা গ্রহিতাদের কোন ধরনের ভোগান্তি দেওয়া যাবে না। কোন ধরনের অার্থিক লেনদেন করলে অভিযোগ পেলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। ঘিওরের সব গুলো ভূমি অফিস এখন তার তত্বাবধানে সেবা প্রদানের মডেল। তিনি সকাল ৯ হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনের তাগিদে রাতেও কাজ করছেন তিনি। আগে যেখানে প্রতিটা নামজারী কাজ পড়ে থাকতো মাসের পর মাস। তিনি এসে সবাইকে আদেশ দিয়েছেন রাতদিন পরিশ্রম করে হলেও নিদিষ্ট সময়ের পূর্বে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে অালাপ করলে তারা জানায়, এসিল্যান্ড অফিস এমন ভাল হবে অামরা কল্পনাও করেনী। আসলে এ এসিল্যান্ড স্যার আসার পরে ভুমি অফিসের চিত্র পাল্টে গেছে, এমনই কথা বলছিলেন অনেকেই। সুশিল সমাজ তথা সাধারন জনগনের দাবী, এসিল্যান্ড সাঈকা সাহাদাতের হোসেনের মত এমনই কর্মকর্তা যেন প্রতিটি অফিসে থাকে তাহলে দূর্নীতি অনেক অংশে লাঘব হবে।
ঘিওর উপজেলার এই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা সাহাদাত জানায়, ঘিওর উপজেলা ভূমি অফিসে এসে জনগন যাতে সেবা নিতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পরে নিদিষ্ট সময়ে তাদের কাজ সম্পাদন করে নিতে পারে তার জন্য সবাত্বক চেষ্টা করছি। ঘিওর ভূমি অফিসকে জনবান্ধব করতে জেলা প্রশাসক স্যার ও এডিসি স্যার এর নিদেশনা ও সার্বিক সহযোগীতায় অামরা জনগনকে নিদিষ্ট সময়ে যথাযথ সেবা প্রদান করছি।
এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর