বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

মানিকগঞ্জ -১ আসনে বিএনপি'র হয়ে লড়তে চান ডাবলু

মানিকগঞ্জ -১ আসনে বিএনপি'র হয়ে লড়তে চান ডাবলু

মানিকগঞ্জ, ২৭ জুলাই, এবিনিউজ : জাতীয়তাবাদী রাজনীতির দর্শনে বিশ্বাসী পরিবারে জন্ম। বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সন্তান হওয়ায় বাবার কাছেই রাজনীতির হাতেখড়ি এ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র বর্তমানে বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সহ- সভাপতি মেধা ও তারুণ্যনির্ভর নেতা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ -১ (ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়) অংশগ্রহণ নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা বললেন।

ডাবলু বলেন, বাবার কাছ থেকেই রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা। বাবা এ্যাডভোকেট পেশার সঙ্গে জড়িত থাকার পরও শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন এবং মানিকগঞ্জ -১ আসন থেকে জনগণের ভালোবাসায় তিনি বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শেষ অব্দি তিনি বিএনপি'র মহাসচিব এর দায়িত্ব পালন করেন, ২০১১ সালের ১৬ই মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন। সেই ছোটবেলা থেকেই জাতীয়তাবাদী দর্শনে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে জনগণ শিক্ষিত, মার্জিত ও তরুণ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। এর কারণও রয়েছে বলে আমি মনে করি। দুর্নীতি, অপশাসন আর অশিক্ষা থেকে জাতিকে একটি সুন্দর আগামী নির্মাণের স্বপ্ন কেবল শিক্ষিত ও মার্জিত তরুণরাই দেখাতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও তাদের দিয়েই সম্ভব। সেই থেকে আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমার বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তরুণদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ -১ আসনের প্রয়াত বিএনপি'র মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর দশম সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু বিএনপি সেই একতরফা ও প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জন করে। এখন দল আমাকে সার্বিকভাবে যোগ্যতা বিবেচনায় মনোনয়ন দিবে বলে প্রত্যাশা করছি।

দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীদের চেয়ে নিজের যোগ্যতার বিষয়ে ডাবলু দাবি করে বলেন, গত ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের সময় আমার বাবার পাশে থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এছাড়াও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনেও সক্রিয় আছি। অন্যদিকে এলাকার নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-হামলা ও নির্যাতনে তাদের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দলের হাইকমান্ড আমার প্রতি আস্থা রাখবে সেই বিশ্বাস রয়েছে।

এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত অবহেলিত এলকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থায় জেলা ও বিভাগীয় শহরে যেতে কয়েকগুণ বেশি সময় লাগছে।

দলের চলমান সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের কর্মসূচি তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি করেছে। আশা করছি আমার নির্বাচনী এলাকায় নতুন করে বিএনপির ৫০ হাজার সদস্য সংগ্রহ করা যাবে।

এবিএন/সোহেল/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত