
সোনাগাজী, ২৭ জুলাই, এবিনিউজ : ছোট ফেনী নদীর অব্যহত ভাঙ্গনের কবলে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউপির চর লামছি, চর কৃঞ্চজয়, পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের শতাধীক পরিবার তাদের ভিটে বাড়ী হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের কোন সহযোগীতা না পেয়ে পরিবারগুলো রাস্তার পাশে বসবাস করছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারনে প্রবল স্রোতে ওই এলাকায় নতুন করে ঘরবাড়ী নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
যেভাবে ভাঙ্গন হচ্ছে অনেক পরিবার ঘরবাড়ী হারানোর আশংকায় রয়েছে। অনেকে বাপ দাদার ভিটে বাড়ী হারিয়ে নদীর কুলে বসে অপলক দৃষ্টিতে হারানোর ঘরবাড়ী স্মৃতি রোমস্থন করে চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন অব বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের মহাসচিব প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ ছেীধুরী মাসুদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আমিরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সলিম উল্যাহ সেলিম, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আফচার মানিক, মোহাম্মদ টিপু মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালেব রবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আরু মিয়া, মোহাম্মদ শামীম, এনামুল হক।
মাসুদ ছৌধুরী উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের করার কারনে ছোট ফেনী নদীর ভাঙ্গন প্রবল আকার ধারন করেছে। পানী উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে ভাঙ্গন প্রতিরোধে অতিদ্রুত উদ্যেগ নেওয়া হবে।
সরজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক বছর যাবৎ নদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার সর্বস্ব হারলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন বা সংসদ সদস্য কেউ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান চেষ্টা চাালালেও সীমিত ক্ষমতা ও অর্থ সংকটের কারনে কিছুই করতে পারেনি। তারা আরও জানিয়েছে, নদীর সোনাগাজীর অংশে ভাঙ্গন অব্যহত থাকলেও চট্রগ্রামের মিরেশরাই উপজেলার অংশে কোন ভাঙ্গন হচ্ছে না।
এবিএন/রিপন/জসিম/এমসি