
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২৯ জুলাই, এবিনিউজ : ‘চলি এক সাথে উন্ন্য়নের পথে’ এই স্লোগান সামনে রেখে হাজীপুর ইউনিয়নে নতুন সামাজিক সংগঠন হাজীপুর উন্ন্য়ন পরিষদের যাত্রা শুরু হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নাম ঘোষিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও নতুন কমিঠির খবর প্রকাশ হওয়ার পর এই সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় হাজিপুরের বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা। এ বিষয়টি নিয়ে নবগঠিত হাজিপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন।
সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাজীপুর ইউনিয়নে অন্তত ৪৫ হাজার লোক বসবাস করছে। এখানে শিক্ষা,স্বাস্থ্য,যোগাযোগসহ বিভিন্ন স্তরে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিবুত সমস্যা বিরাজমান। ইউনিয়নের ৩০ টির ও বেশি গ্রামে কোন পাকা সড়ক নেই। অনেক গ্রামে স্যানিটেশন সমস্যা তীব্র। অনেক পরিবারে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ৭০ ভাগের বেশি লোক এখনো দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করছে। অভাব অনটনের কারনে তাদের পরিবারগুলো প্রয়োজনীয় শিক্ষা,চিকিৎসা,তথা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। শিশুরা অপুষ্টিজনিত নানা রোগে ভুগছে। হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহনের প্রায় এক বছরে আমার কাছে মনে হয়েছে পরিষদের সীমিত আয় ও সরকারী অনুদান দিয়ে এই বৃহৎ জনগোষ্টির কার্যকর কল্যান সম্ভব নহে। ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি একটি সামাজিক সেবা মুলক সংগঠন থাকলে জনগনের কল্যানে আরও কিছু কাজ করা যাবে। এই কারনেই ইউনিয়নের যুব সমাজকে নিয়ে হাজীপুর উন্নয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সংগঠনটি অরাজনৈতিক সেবা মূলক। তাই দলীয় পদবীদারীদের সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ অবান্তর। দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, মুলত পরিশ্রর্মী এবং সৎ নিষ্ঠাবান বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি নিয়ে হাজীপুর উন্ন্য়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। যদিও এ ধরনের আরো কয়েক হাজার নাগরিক এই ইউনিয়নে বসবাস করছেন। কিন্তু পরিষদের শৃঙ্খলা ও কার্যকারিতার জন্য কমিটির পরিধি ছোট রাখা হয়েছে। তবে কার্যকরী কমিটির অনুমোদন স্বাপেক্ষে হাজীপুর ইউনিয়নের যে কোন নাগরিক পরিষদের সাধারন সদস্য হিসাবে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু এক পর্যায়ে বলেন, হাজীপুর উন্নয়ন পরিষদে তিন স্তরে জবাবদিহি থাকবে। প্রতি দুই মাসে একবার কার্যকরী পরিষদ,তিন মাসে একবার উপদেষ্টা পরিষদ এবং দুই বছর অন্তর অন্তর সাধারন পরিষদের সভা অনুষ্টিত হবে। এসব সভায় সংগঠনের সার্বিক কর্মকান্ড পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকবে। পরিষদের লেনদেন (অনুদান প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে) হবে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে।
পরিশেষে হাজিপুর ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনসাধারণকে আহব্বান জানিয়ে আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, এলাকার বৃহৎ স্বার্থ ও মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে হাজীপুর উন্ন্য়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়। অন্তত এক বছর এই পরিষদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করুন। চলি এক সাথে উন্নয়নের পথে এই স্লোগানের মর্ম উপলব্ধি করে সকলে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আপনাদের হাজীপুর ইউনিয়নের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ সকল দিক থেকেই একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করুন।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/রাজ্জাক
“হাজিপুর উন্নয়ন পরিষদ” নিয়ে চেয়ারম্যান বাচ্চুর প্রতিক্রিয়া
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২৯ জুলাই, এবিনিউজ : ‘চলি এক সাথে উন্ন্য়নের পথে’ এই স্লোগান সামনে রেখে হাজীপুর ইউনিয়নে নতুন সামাজিক সংগঠন হাজীপুর উন্ন্য়ন পরিষদের যাত্রা শুরু হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নাম ঘোষিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও নতুন কমিঠির খবর প্রকাশ হওয়ার পর এই সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় হাজিপুরের বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা।
এ বিষয়টি নিয়ে নবগঠিত হাজিপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন।
সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাজীপুর ইউনিয়নে অন্তত ৪৫ হাজার লোক বসবাস করছে। এখানে শিক্ষা,স্বাস্থ্য,যোগাযোগসহ বিভিন্ন স্তরে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিবুত সমস্যা বিরাজমান। ইউনিয়নের ৩০ টির ও বেশি গ্রামে কোন পাকা সড়ক নেই। অনেক গ্রামে স্যানিটেশন সমস্যা তীব্র। অনেক পরিবারে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ৭০ ভাগের বেশি লোক এখনো দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করছে। অভাব অনটনের কারনে তাদের পরিবারগুলো প্রয়োজনীয় শিক্ষা,চিকিৎসা,তথা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। শিশুরা অপুষ্টিজনিত নানা রোগে ভুগছে। হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহনের প্রায় এক বছরে আমার কাছে মনে হয়েছে পরিষদের সীমিত আয় ও সরকারী অনুদান দিয়ে এই বৃহৎ জনগোষ্টির কার্যকর কল্যান সম্ভব নহে। ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি একটি সামাজিক সেবা মুলক সংগঠন থাকলে জনগনের কল্যানে আরও কিছু কাজ করা যাবে। এই কারনেই ইউনিয়নের যুব সমাজকে নিয়ে হাজীপুর উন্নয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সংগঠনটি অরাজনৈতিক সেবা মূলক। তাই দলীয় পদবীদারীদের সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ অবান্তর। দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, মুলত পরিশ্রর্মী এবং সৎ নিষ্ঠাবান বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি নিয়ে হাজীপুর উন্ন্য়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। যদিও এ ধরনের আরো কয়েক হাজার নাগরিক এই ইউনিয়নে বসবাস করছেন। কিন্তু পরিষদের শৃঙ্খলা ও কার্যকারিতার জন্য কমিটির পরিধি ছোট রাখা হয়েছে। তবে কার্যকরী কমিটির অনুমোদন স্বাপেক্ষে হাজীপুর ইউনিয়নের যে কোন নাগরিক পরিষদের সাধারন সদস্য হিসাবে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু এক পর্যায়ে বলেন, হাজীপুর উন্নয়ন পরিষদে তিন স্তরে জবাবদিহি থাকবে। প্রতি দুই মাসে একবার কার্যকরী পরিষদ,তিন মাসে একবার উপদেষ্টা পরিষদ এবং দুই বছর অন্তর অন্তর সাধারন পরিষদের সভা অনুষ্টিত হবে। এসব সভায় সংগঠনের সার্বিক কর্মকান্ড পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকবে। পরিষদের লেনদেন (অনুদান প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে) হবে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে।
পরিশেষে হাজিপুর ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনসাধারণকে আহব্বান জানিয়ে আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, এলাকার বৃহৎ স্বার্থ ও মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে হাজীপুর উন্ন্য়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়। অন্তত এক বছর এই পরিষদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করুন। চলি এক সাথে উন্নয়নের পথে এই স্লোগানের মর্ম উপলব্ধি করে সকলে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আপনাদের হাজীপুর ইউনিয়নের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ সকল দিক থেকেই একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করুন।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/রাজ্জাক