শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালতের উর্ধে থাকা মাদক সম্রাট ইউপি চেয়ারম্যান

আইন-আদালতের উর্ধে থাকা মাদক সম্রাট ইউপি চেয়ারম্যান

আইন-আদালতের উর্ধে থাকা মাদক সম্রাট ইউপি চেয়ারম্যান

ঝালকাঠি, ৩১ জুলাই, এবিনিউজ : প্রায় ৫বছর ধরে গ্রেপ্তারী ও ক্রোক পরোয়ানা মাথা নিয়ে ‘আইন-আদালতের উর্ধে থাকা মাদক স¤্রাট শাহীনের ভাগ্যে আজ ১ আগষ্ট কি ঘটে দেখার অপেক্ষায় মগড় ইউনিয়নবাসী।

ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বিচারাধীন আলোচিত ২ হাজার ২ বোতল ফেন্সিড্রিল মামলার চার্জ শুনানীর তারিখ ধার্য থাকায় এ কৌতুহল বিরাজ করছে মাদকের ভংকর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও শান্তিপ্রিয় মগড়বাসীর মধ্যে।

ঝালকাঠি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ০১ আদালতে বিচারাধীন মাদক মামলায় গ্রেপ্তারী ও ক্রোক পরোয়ানাভূক্ত মগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাদক স¤্রাট এনামুল হক শাহীনকে ৫বছরেও খুজে পায়নি নলছিটি থানা ও ঝালকাঠি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। অথচ ইউনিয়ন আ’লীগ সেক্রেটারী, পুলিশের খাতায় ফেরারী মাদক স¤্রাট শাহীন প্রতিদিন ঝালকাঠি-বরিশাল সড়ক সংলগ্ন মগড় ইউপি অফিসে চেয়্রাম্যান দায়িত্ব পালন করেন। আর মাসে একবার উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় অংশ গ্রহন করলেও অদৃশ্য শক্তি বলে বরাবরেই পুলিশ বলে এসেছে সে পালাতক।

হুলিয়া মাথায় নিয়েই আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক ভাগিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর শাহীনের প্রকাশ্যে বিচরনে স্থানীয় পুলিশের এ মিথ্যাচারে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ ও রাজনৈতিক প্রভাব বেপরোয়া মাদক স¤্রাট শাহীন এ মামলায় চুল পরিমান কিছু হবেনা বলে দম্ভোক্তি করায় প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, মগড় ইউনিয়ন জুড়ে ‘জনসেবক আড়াঁলে জনঘাতক রুপী’ মাদক স¤্রাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহীনের মাদক সা¤্রাজ্য ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে। নতুন করে আপন ছোট ভাই সবুজ হাওলাদার কে দিয়ে ইয়াবা বাজারজাতের মাধ্যমে মাদক সা¤্রাজ্যের আরো সম্প্রসারন ঘটিয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল নলছিটি পুলিশের অভিযানে শাহিনের ভাই সবুজ হাওলাদার শতাধিক পিচ ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে মাদক স¤্রাট মগড় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন বহাল তবিয়তে ইউনিয়ন ও নলছিটি জুড়ে প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে পুলিশের এ ভূমিকার কারনে ইউনিয়নের বাসিন্দারা মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে কিভাবে রক্ষা করবে সন্তানদের তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে।

এজাহার, চার্জশীট ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম, ২০১৫ সালের ২৭ জানুয়ারী দ্বিতীয় ও গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সর্বশেষ ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ০২ এর বিচারক মো. বজলুর রহমান এনামুল হক শাহীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করেন।

কিন্তু নলছিটি থানা পুলিশ কখনওই তাকে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে তিনি ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরীর কাছে তৎকালীন পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহার উপস্থিতিতে শপথ নেন।

এরই মধ্যে মামলাটির বিচারের জন্য আদালত পরিবর্তন হলে আদালত থেকে সর্বশেষ গ্রেফতারি জারি হওয়ার পর ১০ মাস পর হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি এ কে এম সুলতান মাহামুদ বলেন, ‘শাহীনের নামে একটি পরোয়ানা আমরা পেয়েছ্ িবিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এবিএন/আজমীর/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত