![ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/03/jhalokati_abnews_92324.jpg)
ঝালকাঠি, ৩ জুলাই, এবিনিউজ : ঝালকাঠি জেলা সদরের লঞ্চঘাট পল্টুনের বেহাল দশায় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যার সমাধানে বিআইডব্লিউটিএ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।
বরং পল্টুনে সংস্কারের টেন্ডার দিয়ে কাজ না করে বারবার বরাদ্দ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। তাই রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দূরদূরান্তের যাত্রীদের প্রতিদিন এখান থেকে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে, যাত্রী ছাউনীসহ বিশ্রামাগার ও টয়লেটের টিন মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই যাত্রীদের লঞ্চ না আসা পর্যন্ত ঠায় দাড়িয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা।
পুরুষ টয়লেটটি ব্যবহারের সম্পূর্ন অনুপযোগী হলেও পল্টুনে নেই কোন মহিলা টয়লেট। এ কারনে মহিলা যাত্রীদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিলে চরম দূর্ভোগে পরতে হচ্ছে। পল্টুনের প্রবেশ পথে মাটির বস্তা ফেলে রাখায় মালামাল নিয়ে যাত্রীদের ঝামেলায় পরতে হচ্ছে।
বিশেষ করে একটু বর্ষা হলেই সেখানে পানি জমে থাকায় পায়ে কাঁদা মাটি মেখে পল্টুনে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। ইতিপূর্বে মুন্না নামের জনৈক ঠিকাদার বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের শ্যালক পরিচয়ে এই পল্টুন সংস্কারের কাজ শুরু করে ফেলে রেখে যায়। এমন কি অবশিষ্ট কাজ না করেই ফাইনাল বিল তুলে নিয়ে পূনরায় একই কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানাগেছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পল্টুন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত আঃ হক খলিফা ও আনোয়ার হোসেন কালু জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পল্টুন সংস্কার, টয়লেট নির্মান ও সিড়িসহ প্রবেশ পথের টেন্ডার হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের শ্যালক পরিচয় দিয়ে ঠিকাদার মুন্না ভাই কাজ শুরু করে।
এরপর ছাউনীর টিন, টয়লেট নির্মান ও সিড়িসহ অধিকাংশ কাজ ফেলে রেখে চলে যায়। যে কারনে যাত্রীরা ও মালামাল উঠানামায় সমস্যায় টোল আদায়কারি ঠিকাদার দারুন অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলামকে এ বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, ঠিকাদার চেয়ারম্যানের শ্যালক। সে কাজ না করলে আমার কি করার আছে।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের ০১৭১৮৭০০৭০২ নম্বরে তার সাথে কথা বলতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় স্যার টয়লেটে আছে। ১০ মিনিট পরে ফোন দিন। এরপর তার এই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিএন/আজমীর/জসিম/এমসি