মুন্সিগঞ্জ, ৬ আগস্ট, এবিনিউজ : শ্রীনগরে একই দিনে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র ও কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সহ একই দিনে অপর এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ ৩টি দাফনের অনুমতি দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এলাকায় নানা রকম কথা ভেসে বেড়াচ্ছে।
পুলিশ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলেও গভীর রাতে মুচলেকা নিয়ে দাফনের জন্য তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। অপরদিকে পুলিশ এক কলেজ ছাত্রীর লাশ ঘটনাস্থলে রেখে আসে। এছাড়া একই দিনে ২৪ বছররের এক যুবকের পানিতে ডুবে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ ৩ টি লাশই ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ধাইসার গ্রামের সাইদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শ্রীনগর ১নং মলেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নিরব (৯) এর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।
এক বছর আগে উপজেলার সেলামতি গ্রামের ওমান প্রবাসী আ ঃ রহিমের স্ত্রী দুই সন্তান সহ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। নিহত স্কুল ছাত্রের মা জানান বেলা ১১টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন হঠাৎ শব্দ শুনে উঠে দেখেন তার ছেলে নিরবের দেহ গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় জানালার গ্রীলের সাথে ঝুলছে। ফ্ল্যাটে এ সময় বহিরাগত কেউ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিৎ। ওই ফ্ল্যাটের আশ-পাশের লোকজন জানান বিষয়টি রহস্য জনক।
নীরবের দাদা আঃ মালেক শেখ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে বিদেশে থাকে,নিজ বাড়ি ঘর ফেলে রেখে দুইটি শিশু পুত্রনিয়ে আমার পুত্রবধু কি কারণে ভাড়া বাড়ীতে এসে উঠেছেন তা নিয়ে পরিবারের মধ্যে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। এই শিশু বাচ্চার আতœহত্যার প্রশ্নই উঠেনা।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ওসি এস এম আলমগীর হোসেন প্রথমে শিশুটির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানালেও গভীর রাতে আতœীয় স্বজনদের কাছে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশটি হস্তান্তর করেন।একই দিন বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার আলমপুর গ্রামের সালাম মৃধার মেয়ে নিপা আক্তার (১৮) এর ঝুলন্ত লাশ পরিবারের লোকজন নামিয়ে আনে। পরিবারের দাবী নিপা অজ্ঞাত কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যারে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও লাশটি দাফনের জন্য রেখে আসে। নিপা গোপালপুর কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। অপরদিকে বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় উপজেলার পাঁচলদিয়া গ্রামের রিয়াজদ্দিন শিকদারের ছেলে মানিক শিকদার (২৪) এর লাশ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবী মানিক মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। তিনটি লাশের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও কলেজ ছাত্রীর লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়ায় এলাকা বাসীর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, কোন পক্ষের অভিযোগ না থাকায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুমতি নিয়ে লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবিএন/টিপু/জসিম/এমসি