![সোনাগাজীতে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় ১৩ দিন পর মামলা দায়ের](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/06/abnews-24bbbbbbbbbbbbbb_92892.jpg)
ফেনী, ০৬ আগস্ট, এবিনিউজ : সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের পূর্ব চরসাহাভিকারী গ্রামে খায়রুন নাহার পিনু (২২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার ঘটনার ১৩ দিন পর নিহতার ভাই মো. বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল শনিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে, পূর্ব চরসাহাভিকারী গ্রামের আবদুল শুক্কুরের ছেলে ও নিহতার স্বামী মো. মাঈন উদ্দিন, শাশুড়ি অহিদের নেছা, দেবর জসিম উদ্দিন, জা' কাজল বেগম, জা' লাকি আক্তার ও একই বাড়ির প্রবাসী ফকির আহম্মদের স্ত্রী জীবন আরা বেগম এবং স্বামীর বন্ধু চরচান্দিয়া ইউনিয়নোর পূর্ব বড় ধলী গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ, নিহতার পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ২৪ জুলাই বিকালে মাঈন উদ্দিনের বসত ঘরে পিনুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থান থেকে নিহতার মামা শহীদকে মুঠো ফোনে জানান, আপনার ভাগ্নি পিনু গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে আমাদের বাড়িতে আছে। খবর পেয়ে নিহতার মামা শহীদ সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন চিকিৎসককে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান পিনুর নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। পরনের জামা-কাপড় ছেড়া, শরীরের বিভিন্নস্থানে, মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। চিকিৎসক তাৎক্ষণিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর পিনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ওই দিন রাতে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ পিনুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। পর দিন ২৫ জুলাই ময়না তদন্ত শেষে পিনুকে পিতার বাড়ির পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকগণ প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে নিহতার পরিবারকে জানিয়েছেন। ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও অসীম কুমার সাহা প্রাথমিকভাবে হত্যা বলে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফরেনসিক রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এবিএন/আবুল হোসেন/জসিম/তোহা