
ঝালকাঠি, ৭ আগস্ট, এবিনিউজ : ঝালকাঠি জেলার নলছিটি ও কাঠালিয়া দুই উপজেলায় গৃথক হামলার মাধ্যমে দুই যুবককে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ও রবিবার সন্ধ্যায় কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া খেয়াঘাটে পৃথক এ দুই ঘটনায় আহত দুজনকেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার দপদপিয়ায় চাঁদা না পেয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি ঘটনাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতী চলছে।
শৌলজালিয়া খেয়াঘাটে প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলারের একাধিক যাত্রি জানায়, সেন্টারের হাট বাজারের মোবাইল ফোন সামগ্রী ব্যবসায়ী খলিলুর রহামন সিকদার (৩০) গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে বেতাগী থেকে খেয়াযোগে শৌলজালিয়ায় আসছিল। খেয়া নৌকাটি ঘাটে ভেরালে সেখানে পূর্বেই অবস্থান নেয়া দক্ষিণ শৌলজালিয়া গ্রামের ফজলুল হকের বখাটে পুত্র আবির (২৩) লোহার হেন্ডোল দিয়ে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের উপর একাধিক আঘাতের পর নদীতে ফেলে দেয়।
এ সময় নদীর কিনারে দাড়ানো লোকজন ঘটনা দেখে ডাকচিৎকার দিলে লোকজন নদী থেকে খলিলুর রহমানকে সংঙ্গাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। ব্যবসাীয়কে খুলিলের পরিবারের অভিযোগ পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে খলিলকে হত্যা উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে তিমিরকাঠি গ্রামে আহত বাপ্পির পরিবার ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, দপদপিয়া তিমিরকাঠি গ্রামে বাপ্পির বড় ভাই সোহেল রানার কিছু জমি বিক্রি উদ্যোগ নিলে স্থানীয় চাঁদাবাজ কুদ্দুস হাওলাদার ও তার দলবল জানতে পেরে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।
বাপ্পি ও তার বড় ভাই সোহেল রানা টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায় শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সন্ত্রাসী কুদ্দুস স্থানীয় সামসুর দোকনের সামনে রানার উপর হামলা চালায়।
তার ডাক-চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও ছোট ভাই বাপ্পি এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী কুদ্দুস তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া বাপ্পিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয় দিলে তার মাথার উপরী গুরুতর হাড়কাটা জখম হয়ে মাঠিতে লুঠিয়ে পড়ে স্বন্ত্রাসীরা বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আহত বাপ্পিকে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সুলতান মাহামুদ জানান, সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থানেওয়া হবে।
এবিএন/আজমীর/জসিম/এমসি