বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মুন্সীগঞ্জে মহিলা কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে মহিলা কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে মহিলা কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ, ১০ আগস্ট, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ হিসাব শাখায় কর্মরত ফরিদা আক্তার কনেস্টবল নং ৮৪০ থানা সংলগ্ন কোয়ার্টারে গতকাল বুধবার গভীর রাতে (আনুমানিক ২.৩০) ঝুলন্ত লাশ দেখেন সহ কর্মীরা। ঘটনার খোজ নিয়ে যানা যায় থানা সংলগ্ন টিনের ঘরে ৬ জনের বসবাস একটি টিনের ঘরে। ৬জন মহিলা পুলিশের মধ্যে ফরিদা একজন। সেখানে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রাত আড়াইটায় সহকর্মী টয়লেট করতে উঠলে কনষ্টেবল ফরিদার ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখে চিৎকার দিলে অন্য সবাই উঠলে দেখেন ফরিদা আক্তার ঝুলে আছে। কনষ্টবল ফরিদার বয়স মাত্র ২০ বছরে পরেছে। সবে মাত্র ট্রেনিং শেষে কাজের দক্ষতার গুনে জেলা পুলিশ হিসাব শাখায় কর্মে যোগদান করেছেন।

ফরিদা আক্তারের পরিচয় পিতাঃ মোঃ ফরিদ দেওয়ান, মাতাঃ- আছিয়া বেগম মানিকগঞ্জ শিবালয় থানার পোস্ট অফিস ডিতারাইল গ্রামঃ লক্ষিপুর। ফরিদা আক্তার সংসারের বড় মেয়ে। ফরিদা ছোট এক বোন রয়েছে। পুলিশ ব্যারাকে মায়ের আহাজারিতে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে গেছে। মায়ের কান্নায়ই বুঝা যায় সংসারে এই মেয়ের কতটা প্রয়োজন ছিল। কনেষ্টেবল ফরিদার মামা ইউনুছ মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ আছে আমাদের। সাধারণ ডাইরী করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানিয়েছেন থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। তবে আমার বোনের মেয়ে যে এমনি এমনিই গলায় ফাঁসি দিবে এমন মেয়ে নয়। এর মধ্যে অনেক কিছুই লুকাইত রহিয়াছে বলে যানান ইউনুছ মিয়া। তিনি আরো বলেন যদি কর্মরত পুলিশরা নিরাপদে না থাকে তবে পাবলিক কি করে নিরাপত্তা পাবে পুলিশের কাছে? মুন্সীগঞ্জ পুলিশে কর্মরত রাজিব নামের একজনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমন একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান মৃত্যু ফরিদা আক্তারেনর মামা ইউনুছ মিয়া।

এ বিষয় তেমন কোন ঘটনার সুত্র পাওয়া যাচ্ছে না, কারন এটা পুলিশ ডিপরামেন্ডের বিষয়। ঘটনা কেহ কোন মুখ খুলে কিছুই বলতে বা জানাতে পারছে না প্রশাসনের ব্যাক্তি বর্গ।সদর থানার ভার্রপাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। তর্দন্ত কাজ শেষ না হওয়া আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ফরিদা কেন আত্মহত্যা করেছে।অপরদিকে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, যেহেতু রাজিবের ব্যাপারে কানাঘুষা চলছে সে দিক বিবেচনা করে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ অভাবগ্রস্থ পরিবারটির কি হবে এ প্রশ্ন থেকে গেল!

এবিএন/আতিকুর রহমান/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত