শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • খাগড়াছড়িতে গুইমারাসহ ৯টি উপজেলায় জাতীয় শোক দিবস পালন

খাগড়াছড়িতে গুইমারাসহ ৯টি উপজেলায় জাতীয় শোক দিবস পালন

খাগড়াছড়িতে গুইমারাসহ ৯টি উপজেলায় জাতীয় শোক দিবস পালন

খাগড়াছড়ি, ১৬ আগস্ট, এবিনিউজ: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জাতীয় শোক দিবসের কোন কর্মসূচিতে অংশ নেননি প্রধান বক্তা ২৯৮নং আসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী) ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা। জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম সভাপতিত্বে পৌর মিলনায়তন আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের খাগড়াছড়ি কমান্ডার রইস উদ্দিন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চন্জ্জচ্্ুমনি চাকমাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনুপস্থিতি নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। এর আগে খাগড়াছড়ি হাইস্কুল মাঠ প্রাংগন থেকে র‌্যালী শোভা যাত্রা বের হযে শহরের গুরুত্বপুর্ন স্থান প্রদক্ষিনের পর পৌর মিলনায়তন প্রাংগনে গিযে জাতীয় চারনেতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান করা হয়। এসময় কালোব্যাজ ধারন, গুরুত্ব স্থানে কালো ও অর্ধনমিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুরে কাংগালীভোজের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে গুইমারা, মাটিরাংগা, মহালছড়ি, পানছড়ি, দীঘিনালা, মানিকছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়িসহ সদর উপজেলায় জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

অন্যদিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। তবে বেলা সাড়ে ১১টায় মাটিরাঙা সদর ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত শোকসভায় চেয়ারম্যান হিরঞ্জয় ত্রিপুরার সভাপতিত্বে শামছুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির কারণ সর্ম্পকে জানতে বেলা সাড়ে ১২টায় উনার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। সংসদ সদস্যের সহকারী একান্ত সচিব খগেন ত্রিপুরা জানান, গতরাত থেকে স্যার(এমপি) অসুস্থ। তাই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হকের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।

তবে মাটিরাঙা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন লিটন জানান, বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকীতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করলেও ব্যস্ত থাকায় মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হক উপস্থিত থাকতে পারেননি।

মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বিএম মশিউর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকীতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শামছুল হক অংশগ্রহণ করেননি।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শোক র‌্যালী, আলোচনার সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় খাগড়াছড়ির গুইমারাতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পঅর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে গুইমারা উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে গুইমারা উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জোবায়রুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মেমং মারমাসহ জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার শুরুতে জাতির জনকসহ যারা ১৫ আগষ্টে শহীদ হয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এতে বক্তারা বলেন বঙ্গবন্ধকে অস্বীকার করা হলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে। আজকের এই দিনটিতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল। আজও সেই অপশক্তি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিনত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বক্তারা দ্রুত বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবী জানান।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

এবিএন/চাইথোয়াই মারমা/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত