শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

দেশের শ্রেষ্ট বর্ষা বন লাউয়াছড়া

দেশের শ্রেষ্ট বর্ষা বন লাউয়াছড়া

শ্রীমঙ্গল, ১৬ আগস্ট, এবিনিউজ : অপরূপা শ্রীমঙ্গল। দেশের ছোট্ট উপজেলা শহর। যে শহর এখন দেশ-বিদেশে পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত। এখানে রয়েছে দেশের একটি বিখ্যাত বন। কেউ বলেন- বৃষ্টি বন। কেউ বলেন ট্রপিক্যাল রেইন ফরেষ্ট। কেউ বলে থাকেন লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেষ্ট। যে বনটি বন্যপ্রাণী আর নানা প্রজাতির দুর্লভ বৃক্ষের আবাসস্হল।

দৃষ্টিজুড়ে চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। এ বনে রয়েছে ছোট- বড় উচু-নীচু টিলা আর হরেক প্রজাতির গাছ-গাছালি আর বন্যপ্রাণী। এই লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কে রয়েছে ৪৬০ প্রজাতির জীব। এরমধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি, ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ,২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ১৭ প্রজাতির পোকামাকড়।

লাউয়াছড়া বনের প্রধান আকর্ষন হচ্ছে- অতি বিরল প্রজাতির উল্লুক আর অজগর। এ দু'টি প্রাণীকে লাউয়াছড়ার প্রাণ বলা হয়ে থাকে। পর্যটক, দর্শনার্থীরা লাউয়াছড়া বনে এসে দুর্লভ বৃক্ষ আর নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিশেষ করে উল্লুক আর অজগর দেখে হন মুগ্ধ।

বন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকমাস ধরে এ বনের অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে। যেমন নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে উল্লুকের সংখ্যাও। পৃথিবীর যে ৪ টি দেশে উল্লুক দেখা যায় তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং এই লাউয়াছড়া বন উল্লুকের বৃহত্তম আবাসস্হল। অন্য যে দেশে উল্লুক দেখা যায় সেগুলো হলো-- ভারত, চীন ও মিয়ানমার।

শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান জানালেন, সম্প্রতি এ বনে উল্লুক, বন্য শুকর, মায়া হরিন, লজ্জাবতি বানর, অজগরসহ বেশকিছু বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা নি:সন্দেহে আশাব্যাঞ্জক খবর।

ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দুরবর্তী আর মৌলভীবাজারেরর শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দুরে অবস্হিত এই লাউয়াছড়া বন। এ বনের আয়তন ১২৫০ হেক্টর। চাপালিশ গাছকে ঘিরে বসবাসকারী বিরল প্রজাতির উল্লুকের বাস এই বনে। যে উল্লুক হাজার হাজার দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে থাকে। স্হানিয় বন্যপ্রাণী বিভাগ এদের বিশেষভাবে দেখভাল করে থাকে। ফলে উল্লুকের নিরাপদ আশ্রয়স্হল হিসেবে বিশ্বের বুকে স্হান করে নিয়েছে এই বন। এ পার্ক এখন উল্লুক দেখার জন্য শ্রেষ্ট উদ্যান এবং পাখি দেখার জন্য যেন স্বর্গোদ্যান। প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসছেন এই বনে। দুর্লভ বৃক্ষ আর বিরল বন্যপ্রাণী দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটক - দর্শনার্থীরা। তাছাড়া এ পার্ক এখন শুধু পর্যটকেরই স্হান নয়। এ পার্ক এখন এক জীবন্ত ও প্রাকৃতিক গবেষনাগার যেখানে বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষনার জন্য গবেষকরা আসছেন।

এবিএন/আতাউর রহমান/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত