রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo

ঝালকাঠিতে ডাকাত সন্দেহে দুই পুলিশ সদস্য আটক

ঝালকাঠিতে ডাকাত সন্দেহে দুই পুলিশ সদস্য আটক

ঝালকাঠি, ১৯ আগস্ট, এবিনিউজ : ঝালকাঠিতে ডাকাত সন্দেহে বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দুই সদস্য স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও ঝালকাঠি থানা পুলিশ পথিমধ্যে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জনতার অক্রোশ থেকে বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে ঝালকাঠি থানায় নেয়ার বদলে পথিমধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় সদর উপজেলার নথুল্লাহবাদ ইউনিয়নের নৈয়ারি গ্রাম থেকে আটকৃতদের ছাড়িয়ে এনে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে জনমনে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার সময় ঝালকাঠি বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জালালকাঠি গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ি স্বপন খান নামে আরো একজনকে জনতা আটক করলেও সে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

এলাকাবসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় নৈয়ারি গ্রামের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেনের বাড়িতে জোর করে ৩ ব্যক্তি প্রবেশ করে। এ সময় গৃহকর্তা আলমগীর বাড়িতে না থাকায় ভয়ে তার স্ত্রী পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে বিষয়টি মুঠোফোনে তার স্বামীকে জানায়। আলমগীর তার পরিচিত এলাকাবাসী বিভিন্ন জনকে খবর দিলে প্রায় সহশ্রাধিক মানুষ তাদের বাড়ি চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলে ও ঝালকাঠি থানার ওসিকে বিষয়টি জানায়।

খবর পেয়ে সদর থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছলে এলাকাবসি আটক দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের একজন ঝালকাঠি শহরের বাঁশপট্টি এলাকার বাসিন্ধা, পুলিশ সদস্য আল হাদি ও অন্যজন সদর উপজেলার চামটা গ্রামে বাসিন্ধা, পুলিশ সদস্য সিরজুল ইসলাম বলে পরিচয় দেয়। আটককৃত দুজনের মধ্যে একজন এসআই ও একজন কনেষ্টবল পদে বরিশাল আর্মড পুলিশে কর্মরত বলে সূত্র জানায়।

অন্যদিকে আটকাবস্থায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জালালকাঠি গ্রামের ফিরোজ মেম্বরের ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ি স্বপন খান বলে এলাকাবাসি নিশ্চিত করেছে। তার বিরুদ্ধে বরিশালের বিবির পুকুর সড়ক সংলগ্ন খান বোর্ডিংএ মাদক ও দেহ ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল কবির বলেন, এলাকাবাসির মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই কয়েক ব্যক্তিকে বাড়িতে আটক করে জনতা ঘিরে রেখেছে। পরে নিশ্চিত হই আটক দুই ব্যক্তি পুলিশের সদস্য। আটক অন্য ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়।

বরিশাল আর্মড পুলিশের সদস্য হয়ে রাতের বেলা কেন তারা অন্য এলাকায় এসে বাড়িতে প্রবেশ করেছে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারেনি। আমরা এলাকাবাসির সহায়তায় তাদেরকে পুলিশে তুলে দিয়েছি। এখোন যদি তাদের ছেড়ে দেয়া হয় তবে সে দায় ঝালকাঠি থানা পুলিশের।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে দুই পুলিশ সদস্যকে বরিশাল আর্মড পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

এবিএন/আজমীর/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত