
ঝালকাঠি, ২০ আগস্ট, এবিনিউজ : স্বামীর খোঁজে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝালকাঠি এসে অন্তসত্তা এক নারী শ্বশুর পরিবারের হাতে নির্যাততি শিকার হয়েছে। আহত অবস্থায় গৃহবধূ লিজা আক্তার রূপা কে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুলিশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার দারাখানা গ্রামে গত শনিবার এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও নির্যাতিত নারী জানান, আহত লিজা আক্তার রূপা নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় হোটেল বাবুর্চি রাজু হোসেনের সাথে। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক শুরুর এক পর্যায়ে দেড় বছর আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জেই বসবাস শুরু করে। কয়েক মাস পূর্বে সে অন্তসত্তা হয়ে পরলে গত ১৫দিন আগে স্বামীরাজু তাকে ফেলে রেখে আত্মগোপন করেন। গত শনিবার অসহায় গৃহবধূ রূপা স্বামীরখোজে শ্বশুর বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার দারাখানা গ্রামে আসে। কিন্তু অন্তসত্তা রূপাকে দেখেই তার শ্বাশুরী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়রা বেধরক ভাবে মারধর করে। এতে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয়রা রূপাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে নিয়ে আসে। পুলিশ রূপার কাছ থেকে প্রাথমিক অভিযোগ শোনার পর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মৃণালকান্তি ব্যন্দোপাধ্যায় জানান, রূপাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তার পেটের বাচ্চার ক্ষতি হয়েছে কী না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝালকাঠি থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আহত গৃহবধূ রূপা বেগমের স্বামীবর্তমানে পালাতক রয়েছে। তাকে খুজে বের করার পর রুপাকে তার স্বামীরসংসারে ফিরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
গৃহবধূ লিজা আক্তার রূপা কুামল্লার জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দড়িগোয়ালি গ্রামের দরিদ্র নজরুল ইসলামের মেয়ে। তার সন্তানকে নিরাপদে ভূমিষ্ঠ করতে চান আর ফিরে পেতে চান তার স্বামীর সংসার।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর