শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

কুলাউড়ায় রহস্যময় এক নারীকে নিয়ে চলছে নাটকীয়তা

কুলাউড়ায় রহস্যময় এক নারীকে নিয়ে চলছে নাটকীয়তা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২০ আগস্ট, এবিনিউজ : কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে রহস্যময় এক নারীকে নিয়ে চলছে নানা নাটকীয়তা। এক নিরীহ ও বোকা প্রকৃতির যুবকের সাথে সাদা কাগজে কাবিননামা লিখে বিয়ে দেয়া হয় বিয়ে। সেই মহিলা তার আগের স্বামী আছে আছে জানালে আয়োজন করা হয় হিল্লা বিয়ের। শেষতক ১৯ আগস্ট রাতে বিষয়টি অভিযোগ করেন কুলাউড়া থানায় করেন আকুল মিয়া । পুলিশ বলছে গুরুতর কিছু হলে আইনের আওতায় আনা হবে। থানায় লিখিত অভিযোগ, পরিবারিক এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ভাটেরা বাজারের ব্যবসায়ী ও ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু মোবাইল ফোনে গেন্দু মিয়ার প্রতিবেশী আকুল মিয়াকে জানান, গেন্দু ভাটেরা বাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি বাজারে এসে জানতে পারেন এধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে। পরে তিনি নানুর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নানু কোন সূদুত্তর দেননি। পরে রাত ১ টার দিকে বাড়ীতে ফিরে দেখেন, নিরীহ ও বোকা গেন্দু মিয়ার সাথে জোরপূর্বক সিলেটের ধারল গাজীপুর এলাকার মো. মনাফ মিয়ার মেয়ে রেজিয়া বেগম নামের ওই মহিলাকে বিয়ে দিচ্ছেন বদরুল ইসলাম সিদ্দিকী নানু, মাইজগাঁও গ্রামের আব্দুল হান্নান, কৃষ্ণপুর গ্রামের হাজী শওকত মিয়া। মহিলাটি এসময় জানায়, তার আগে বিয়ে হয়েছিলো ওই স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। এসময় তাকে ৩শ টাকা কাবিনে হিল্লায় বিয়ে দেয়া হয় হাজী শওকত আলীর সাথে। ঘন্টা দেড়েক আলাদা ঘরে সংসার করে ৩শত টাকা পরিশোধ করে রেজিয়া বেগম নামের ওই মহিলাকে তালাক দেন। পরে স্থানীয় মাওলানা সাইফুল আলমকে এনে কোন কাবিন রেজিষ্ট্রি ছাড়া সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেন্দু ও রেজিয়ার বিয়ে পড়িয়ে দেন। স্থানীয় লোকজন জানান, মহিলাকে আনা হয় মুলত নিজেদের পশুবৃত্তি নিবারণ করতে। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে একজন নিরীহ লোকের উপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। এনিয়ে গোটা ইউনিয়নে তোলপাড় চলছে। আইনের আওতায় নিয়ে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এদিকে গেন্দু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, আমরা ২ ভাই, ২ বোন। আমাদের মা তিন মাস আগে মারা গেছেন। আমাদের মতামত না নিয়ে গভীর রাতে আমাদের বাবার সাথে ওই মহিলাকে তারা বিয়ে দেন। আমরা ঘুম থেকে উঠে মহিলাটি দেখতে পারি। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাদের নানা হুমকি ধামকি দেন। মহিলাটি দিনে কোথায় চলে যায়, রাতে আবার ফিরে আসে। আমরা এখন ওই মহিলার কবল থেকে মুক্তি চাই।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু জানান, আমি রাতে আকুলের বাড়ীতি গিয়ে দেখিছি বিয়ে শেষ হয়ে গেছে। হিল্লার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার মান-সম্মান নষ্ট করা জন্য আমাকে ঘটনার সাথে জড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলন মিয়া জানান, আমি বিষয়টি দুই-তিন পরে শুনে ওই এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি ৩য় পক্ষের সহযোতিায় বিয়েটি হয়েছে। ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। বিষয়টি সত্য। এ ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। কুলাউড়া থানার ওসি মো. শামীম মূসা জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে। গুরুতর কিছু হলে আইনের আওতায় আনা হবে।

এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত