![কুলাউড়ায় হিল্লা বিয়ের ঘটনা পুলিশি তদন্ত চলছে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/21/kolaura_95825.jpg)
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২১ আগস্ট, এবিনিউজ : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মঞ্চস্থ হয়েছে বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী দলের একাংশের ইউনিয়ন সম্পাদকের পদে অধিষ্টিত বদরুল আলম সিদ্দিকী নানুর নেতৃত্বে এক হিল্লা বিয়ের ঘটনা মিডিয়ার প্রকাশের পর টনক নড়েছে থানা পুলিশের। অভিযোগের কপি থানার ফাইলে তদন্তের অপেক্ষায় থাকলেও মিডিয়ায় ফলাও হয়ে প্রকাশ পাওয়ায় ও বিষয়টি প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় অবশেষে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ সম্পাদক নানু,দপ্তর সম্পাদক হান্নানদের অপকর্ম ঢাকতেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। আর এর গ্যাড়াকলে পড়ে কয়েকদিন প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ট হয়ে থাকা সেই নারীর বোঝা এখন স্থানীয় এলাকার নিরীহ গেন্দু মিয়ার ঘাড়ে। ঐ বোঝা থেকে পিতাকে মুক্তির জন্য গেন্দু মিয়ার পুত্র নজরুল প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন মিডিয়ার মাধ্যমে।
জানা যায়, ভাটেরা ইউনিয়নের এক নিরীহ ও বোকা প্রকৃতির লোক গেন্দু মিয়াকে হিল্লা বিয়ের বোঝা তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় সংঘটিত স্থানের বাড়ির কর্তা আকুল মিয়াকে মোবাইল ফোনে ডেকে বাড়ি থেকে সরানো হয় মিথ্যে তথ্য দিয়ে। ফাকা করা হয় ঐ বাড়ির একটি রুম। যেখানে মঞ্চস্থ হয় সাজানো সেই হিল্যে বিয়ে এবং তড়িঘড়ি করে সাদা কাগজে কাবিননামা লিখে বিয়ে দেয়ার আয়োজন করা হয় জনৈক মহিলাকে। তখন মহিলা প্রতিবাদ করলে আগের স্বামীর বিষয় প্রকাশ পায়। তাতে আয়োজন করা হয় হিল্লা বিয়ের নাটক। শেষতক ১৯ আগস্ট রাতের ঘটনাটির প্রতিকার চেয়ে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাটেরার আকুল মিয়া ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু জানান, আমি রাতে আকুলের বাড়ীতি গিয়ে দেখিছি বিয়ে শেষ হয়ে গেছে। হিল্লার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য আমাকে ঘটনার সাথে জড়ানো হচ্ছে।
ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি বিষয়টি সত্য।
এ বিষয়ে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পুলিশের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে। অপরাধের কোন আলামত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/ইমরান