![নাম প্রত্যাহারের দাবীতে মাদারীপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/22/abnews-24.bbbbbbbbbb_96070.jpg)
মাদারীপুর, ২২ আগস্ট, এবিনিউজ : সদর উপজেলার ছিলারচর গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মাদারীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মামলার আসামী একই গ্রামের হুমায়ুন খানের পিতা মো. রশিদ খান ও তার আত্মীয় স্বজন।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন খানের পিতা রশিদ খান অভিযোগ করে বলেন, ‘মূল ঘটনা আড়াল করে শত্রুতা উদ্ধার করতে ঐ ছাত্রীর পিতা হাফিজুল মোড়ল তার মেয়েকে পুঁজি করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উত্থাপন করে গত ২৬ জুলাই মাদারীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ঐ মামলায় আমার ছেলে হুমায়ুন খানকে ১নং আসামী করেছে হাফিজুল মোড়ল।
ঐ ছাত্রী গত ২৫ জুলাই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে বলেছে, “মাদ্রাসার ছুটির পর আমি একটি অটোবাইকে ছিলারচর বাজারে আসি। অটোবাইক থেকে নামার পর একটি বোরকা পড়া মেয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি তাকে চিনি না। কিছুদুর যাবার পর আমার হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে টেনে নিয়ে যায়। পরে পা বেঁধে একটি বাগানে নিয়ে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা আমার হাত ও বুকে বেড দিয়ে আঘাত করে। এরপর তারা আমার মুখ থেকে কাপড় সরায়। এসময় তারা আমাকে দেখে বলে, এই মেয়ে না, এটা অন্য মেয়ে। এই বলে তারা আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।” এ ধরণের সংবাদ বহু পত্র-পত্রিকায় গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। অথচ, হাফিজুল মোড়ল নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে তার মেয়েকে পূঁজি করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করে।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন খানের পিতা রশিদ খান আরো বলেন, “মামলায় যাদেরকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা কেউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানীর উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা থেকে আমার ছেলে মো. হুমায়ুন খানের নাম প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি ঐ ছাত্রীকে যদি কেউ নির্যাতন করে থাকে তা‘হলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।” এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন খানের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার, বোন শাহীনূর আক্তার, নিকটাত্মীয় সৈয়দ রবিন প্রমুখ।
এবিএন/সাব্বির হোসাইন/জসিম/তোহা