![ঝালকাঠিতে আদালত ও পুলিশী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখল](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/22/jhalkathi_abnews24 copy_96087.jpg)
ঝালকাঠি, ২২ আগস্ট, এবিনিউজ : ঝালকাঠিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ও অন্যের জমি দখল করে স্থানীয় ধর্ম ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু দু’ভাই অবৈধ ও ঝুকিপূর্ণ ষাইট ফুট উচু পাকা মিনার নির্মান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের সুগন্ধীয়া গ্রামে এ ঘটনার অভিযোগে ২১ আগষ্ট সোমবার ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে চিহ্নিত ধর্ম ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু চক্রের নেতা কবির হোসেন মুক্তা ও মনোয়ার হোসেন চানের বিরুদ্ধে মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশ ও সংস্থার থেকে মসজিদ-এতিমখানার নামে অর্থসংগ্রহ করে এলাকায় সন্দেহ জনক কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। তাদের এ রহস্যজনক কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মঝে নানা গুঞ্জন থাকলেও ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, গত ১১ আগষ্ট সকাল ৮টায় সুগন্ধীয়া গ্রামে দু’ভাই চিহ্নিত ধর্ম ব্যবসায়ী-ভূমিদস্যু কবির হোসেন মুক্তা ও মনোয়ার হোসেন চানের নেতৃত্বে ১০/১২জন সন্ত্রাসী বাদী সেলিমের মালিকানাধীন জমিতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক পাকা মিনার নির্মান শুরু করে। নিরুপায় হয়ে তিনি গত ১৩ আগষ্ট অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (এমপি ৫২৮‘/১৭ ঝাল) মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত জমিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বিবাদীরা ‘আদালত ও পুলিশের তোয়াক্কা না করে’ তাদের অবৈধ দখলদারী ও ঝুকপূর্ন মিনার নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উক্ত ধর্ম ব্যবসায়ী-ভূমিদস্যু কবির হোসেন মুক্তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ফসির দরাডপ্রাপ্ত জেএমবির শীর্ষ জঙ্গি শায়েখ আবদুর রহমান ও তার ভাই আবদুল আইয়ালের সহযোগী হিসাবে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। উক্ত জঙ্গী নেতাদের আর্খিক সহায়তাদানকারী মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশ ও সংস্থা থেকে মুক্ত ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন এলাকায় ২১টি আধুনিক মসজিদ, এতিমখানা, দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র ও ১৮ টিউবয়েল নির্মানের জন্য কয়েক কোটি টাকা অনুদান নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সুউচ্চ এ মিনার নির্মানের কাজে প্রায় ২০/২৫জন বহিরাগত লোককে চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এনে সুগন্ধীয়া গ্রামে রেখেছে বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান সাইফুল হোসেনের আদালতে প্রদানকৃত এক প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেন, বিতর্কিত মিনারটি কোন মসজিদের নয় একটি কবরস্থানের উপর নির্মান করা হচ্ছে। তবে এতো সুউচ্চ পাকা মিনার নির্মানের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদর কাছে কিছু জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন চানের সাথে আলাপকালে জানান, তারা নিজেস্ব জমিতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে মসজিদের পাশাপাশি এ মিনারটি নির্মাণ করতে শুরু করলে প্রতিহিংসামূলক ভাবে একটি পক্ষ নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তবে আদালত ও পুলিশের নোটিশের পর থেকে আমরা নির্মান কাজ বন্ধ রেখেছি। বিদেশী অনুদান অর্থে জঙ্গি তৎপরতার কথা জানতে চাইলে তিনি এসব সম্পূর্ন মিথ্যা ও অপপ্রচার বলে দাবী করেন।
এবিএন/আজমীর হোসেন/জসিম/তোহা