শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • সোনাগাজীতে অভিযানে ড্রেজার ও স্কেভেটর মেশিনে অগ্নিসংযোগ

সোনাগাজীতে অভিযানে ড্রেজার ও স্কেভেটর মেশিনে অগ্নিসংযোগ

সোনাগাজীতে অভিযানে ড্রেজার ও স্কেভেটর মেশিনে অগ্নিসংযোগ

ফেনীর (সোনাগাজী), ২২ আগস্ট, এবিনিউজ : ফেনীর সোনাগাজীর মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ এনে স্থানীয় স্বতন্ত্র সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহর বালু মহালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভুমি) স্নেহাশীষ দাশের নেতৃত্বে অভিযানের সময় সাংসদের মালিকীয় একটি ড্রেজার ও দুটি স্কেভেটর মেশিন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পূর্বে মজুদকৃত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ সিফটি বালি জব্দ করে উম্মুক্ত নিলামে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

এ সময় র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, ফেনী-৩ আসেনের সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকায় মুহুরী নদী থেকে দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নেহাশীষ দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই একটি বালি উত্তোলনের ড্রজার, ২টি স্কেভেটর মেশিন পেট্রোল ঢেলে পুড়ে দেয়া হয়। এসময় সাড়ে তিন লাখ সিফটি বালি জব্দ করে তাৎক্ষণিক উম্মুক্ত নিলাম আহবান করেন।

উপজেলা আ'লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন তাৎক্ষণিক সর্বোচ্চ দর ৭লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে নিলাম গ্রহন করেন। সর্বনিন্ম দর দেন ৭লাখ টাকা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরন।

তবে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সাংসদ রহিম উল্যাহ বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, গত বছর জেলা প্রশাসক থেকে বৈধভাবে তার ভাতিজার বেলাল এন্টার প্রাইজের নামে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করেছেন।ইজারা শেষ হয়ে যাওয়ার পর গত তিন মাস পূর্বে থেকে বালু উত্তোলন বন্দ রয়েছে।

তিনি আরো জানান, পূর্বে উত্তোলনকৃত বালু তিনি তার নিজ মালিকিয় জমিতে স্টক রেখে বিক্রি করছেন।কিন্তু জেলা প্রশাসন সম্পুর্ন বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভুতভাবে পূর্বের উত্তোলনকৃত বালু নিলামে দিয়েছে এবং যন্ত্রপাতিতে অগ্নিসংযোগ করেছে।এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানান।

ইজারার সময় বৈধ উপায়ে উত্তেলিত বালু নিলামে দেওয়া যায় কিনা জানতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক স্নেহাশীষ দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান চালিয়েছি। এরচেয়ে বেশী জানতে হলে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়ের মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন দিলেও সেটি ব্যাস্ত পাওয়া যায়।

এবিএন/রিপন/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত