![ঝালকাঠির নলছিটিতে বিয়ের প্রলোভনে হোটেলে নিয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/23/dorcok-sogol_96211.jpg)
ঝালকাঠি, ২৩ আগস্ট, এবিনিউজ : ঝালকাঠির নলছিটিতে বিয়ের প্রলোভনে বরিশালে একটি আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী প্রেমিকের পরিবারের কাছে গিয়ে পুনরায় হামলার শিকার হয়েছে। বিয়ের দাবি স্কুল ছাত্রীটি প্রেমিকের বাড়িতে অনশনকালে ধর্ষক পরিবার মারধর করে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাতে উপজেলার তৌকাঠি গ্রামে আব্দুস ছালাম হাওলাদারের ছেলে প্রেমিক রুপী ধর্ষক তরিকুল ইসলাম সজলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটির অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্র ল্যম্পট ধর্ষক সজল ঘটনার দায় এড়াতে পরিবারের সহযোগীতায় আত্মগোন করে বলে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
স্কুল ছাত্রীটি অভিযোগ করে, দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ধর্ষক তরিকুল ইসলাম সজল গত ১৮ আগষ্ট শনিবার সকালে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বরিশালে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলের ভাড়া রুমে ওঠায়। হোটেলে ওঠার কারন জানতে চাইলে সজল তাকে জানায় ‘কাজী বিকেলে হোটেলে এসে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করবে।’ ইতিমধ্যে হোটেলের রুমে আটকে ল্যম্পট প্রেমিক সজল তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে।
এদিকে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল ঐ হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের বরিশাল মডেল থানায় নেয় ও পরের দিন বরিশাল আদালতে প্রেরণ করলে দুজনেই আদালত থেকে জামিন নেয়। কিন্তু জামিন নিয়েই আদালত চত্বরে স্কুলছাত্রীকে ফেলে ধর্ষক সজল পালিয়ে গেলে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী নলছিটিতে ফিরে আসে।
সে আরো জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় নলছিটিতে ফিরে সে বিয়ের দাবিতে ধর্ষক প্রেমিক সজলের বাড়িতে অনশন শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষকের পরিবার নলছিটি থেকে ভাড়াটে লোকজন এনে তাকে মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষকের মা ও অন্যরা মিলে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে আসে। পরে জ্ঞান ফিরলে রাতে সে বাড়িতে ফিরে এসে ঘটনা পরিবারের সবাইকে জানালে তারা স্থানীয় গন্যমান্যদের কাছে ধরণা দিয়েও কোন সুফল পায়নি।
ছাত্রীটির বড় ভাই বলেন, আমরা গরিব মানুষ, তাই কোথাও গিয়ে বিচার পাই না। আমার বোনটিকে যদি সজল বিয়ে না করে সে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি বিষয়টি নলছিটি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও কুলকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তারা কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা মামলা করবো।
এব্যাপারে কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আখতারুজ্জামান বলেন, স্কুলছাত্রীটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এই মুহূর্তে বিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে সজলের সঙ্গে মেয়েটির বিবাহ দেয়া যায়, সে বিষয় উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে সজলের বাবা আব্দুস ছালাম হাওলাদার বলেন, কোথাকার একটি মেয়ে আমাদের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে। আমার ছেলের সাথে বিয়ে বসতে চায়। আমার তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় কিছু লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা ওই মেয়েটিকে দিয়ে একটি সাজানে ঘটনা রটিয়ে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছে।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর