মানিকগঞ্জ, ২৩ আগস্ট, এবিনিউজ : ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে কোনো ছিনিমিনি ও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো বাছাই করে ওই সব এলাকার রাস্তা ঘাট, ব্রিজ কালর্ভাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে মেরামত কাজ শুরু হবে।
দেশে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য রয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও ধনী ব্যক্তিদের ত্রাণ কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বন্যার পরেও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। সে জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মানিকগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইতোমধ্যে ৬শ’ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
বন্যা কবলিত এসব মানুষের মাঝে আরও ৩শ’ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল মোহাম্মদ রাশেদসহ স্থানীয় অাওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বন্যা কবলিত ৫০০ পরিবারের মাঝে এক হাজার ২শ’ ৪০ টাকা মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় নয়টি পণ্য বিতরণ করা হয়।
এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর
© আবহমান বাংলা মিডিয়া লিমিটেড কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
