![রাজাপুরে বাদশার মূল্য চার লাখ!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/23/badca-pic_96341.jpg)
ঝালকাঠি, ২৩ আগস্ট, এবিনিউজ : ঝালকাঠির রাজাপুরে পবিত্র ইদুল আজহা পালনের লক্ষে আযোজিত গরুর হাটে বাদশা’র আগমন ঘটেছে। প্রায় ১২মন ওজনের বিশাল দেহী বাদশাকে দেখতে কৌতুহলী লোকজনের ভীর পরে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে বাদশার সর্বনিন্ম মূল্য ধরা হয়েছে ৪লাখ। উপজেলা সদরের বাগড়ী বাইপাস মোড় এলাকায় হাফেজ মোঃ ওবায়দুল্লাহর ¯েœহ-যতেœ রিষ্টপুষ্ট হয়ে বাদশা বিশাল দেহের অধিকারী হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাগড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ দুগ্ধ খামারের মালিক হাফেজ ওবায়দুল্লাহর সাথে আলাপকালে জানান, ৫বছর যাবৎ তিনি এই খামারটি পরিচালনা করে আসছেন। ২টি গরু দিয়ে তিনি ৫বছর পূর্বে আব্দুল্লাহ দুগ্ধ খামারের যাত্র শুরু করেন। এখন তার খামারে ৪টি গাভী, ৪টি বাছুর ও ৪টি বলদসহ মোট ১২টি গরু রয়েছে।
এরমধ্যে আড়াই বছর বয়সী ষাড় বলদ বাদশার দিকে সবার আগে নজর পরছে সকলের। আন্তরিকতা ও ¯েœহ দিয়ে লালন-পালন করা এ খামারের মালিক হাফেজ ওবায়দুল্লাহ তাই বলদটির নাম রেখেছেন বাদশা।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে বাদশার দেহের আনুমানিক ওজন হবে ১১ থেকে ১২ মন। দেহের এ অস্বাভাবিক ওজনের জন্য বাদশাকে প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব।
তাই অনেকেই খামারে গিয়ে বাদশাকে দেখে বিভিন্ন মূল্য হাকছেন। আড়াই বছরে ষাড় বলদ বাদশার মূল্য হাকিয়েছেন ৪লক্ষ টাকা। সম্পূর্ন দেশীয় খাদ্য-খাবার দিয়ে আব্দুল্লাহ দুগ্ধ খামারে সবগুলো গরু লালন-পালন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাফেজ আব্দুল্লাহ আরো জানান, আমার খামারে ষাড়ঁ বলদ বাদশাকে এবছর কোরবানীতে বিক্রি করার ইচ্ছা রয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে উঠা কোরবানীর পশুর মধ্যে বাদশা সবচেয়ে বড় দামের পরিমান বেশী। যে কারনে কোরবানীর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত বাদশাকে বিক্রি করতে অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে তিনি জানান। দেশীয় খাবার খাওয়ানো সত্বেও এতো বিশাল দেহের অধিকারী হওয়া ষাড় বলদ খবর শুনে তাই অনেকেই একনজর দেখার দেখার কৌতুহল নিয়ে অনেকই এই খামারে ছুটে আসছেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাক্তার অলকেশ কুমার বলেন, এই খামারের সবগুলোর গরু অষ্ট্রেলিয়ান হলিষ্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের। শুরু থেকেই তারা এ খামারের পরিচর্যায় সার্বিক সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
দেশীয় খাবার- খইর, ভুষী খাইয়ে এই ধরনের বড় জাতের গরুর খামার করে স্বাবালম্বী হওয়া সম্ভব। হাফেজ মোঃ ওবায়দুল্লাহ তার দুগ্ধ খামারটি প্রতিষ্ঠিত করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/রাজ্জাক