শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

শরীয়তপুরে ঈমামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

শরীয়তপুরে ঈমামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

শরীয়তপুর, ২৪ আগস্ট, এবিনিউজ : জুমা‘র নামাজে খুৎবার সময় মাদক ও নেশা বিরোধী আলোচনা করায় মসজিদের ঈমামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে এক মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার সময় শরীয়তপুর পৌরসভার বালুচড়া জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা শরিফুল ইসলাম (৪৮) এ হামলার শিকার হন।

মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছেন। মাদক ব্যবসায়ী সোলায়মান সরদারকে আটক করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকাসক্ত সোলায়মানের বিচারের দাবিতে শরীয়তপুর জেলা শহরে মানববন্ধন করেছেন শরীয়তপুরের ঈমাম পরিষদ। ঘটনার খবর পেয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং হাসপাতালে গিয়ে আহত শরীফুল ইসলামের খোঁজখবর নিয়েছেন।

এদিকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুপুরে শরীয়তপুর শহরে শরীয়তপুর জেলা ঈমাম পরিষদের উদ্যোগে তাৎক্ষনিক মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। মানববন্ধনে ঈমাম পরিষদের নেতারা দ্রুত বখাটে সলেমান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কিছু উঠতি বয়সী যুবক ও তরুণ মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ায় মাওলানা শরিফুল ইসলাম বিভিন্ন সময় জুমার নামাজের খুৎবায় মাদক ও নেশা বিরোধী বক্তব্য দিতেন। এতে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী তার প্রতি নাখোশ ছিল।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের খুৎবায় ঈমাম শরিফুল মাদক ও নেশা বিরোধী আলোচনা করেন এবং এলাকার অভিভাবকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেন তাদের সন্তানদের মাদকের ভয়াল ছোঁবল থেকে রক্ষা করতে।

ঈমামের এমন বক্তব্য ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার হাসান সরদারের ছেলে ও আলী ভেন্ডারের ভাই বখাটে নেশাখোর সলেমান সরদার ঈমামকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।

আজ বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর ঈমাম শরিফুল সমজিদের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকাল ৭টার দিকে সলেমান সরদার এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে বলে তুই খুৎবার আলোচনায় বেশি বাড়াবাড়ি করছিস। তুই আজকে এই এলাকা থেকে চলে যাবি, নইলে তোর খবর আছে। তখন এই হুমকির প্রবিাদ জানানোর সাথে সাথে সলেমান সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে ঈমামকে প্রথমে কিল ঘুষি লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।

এরপর তার কোমড়ে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় ও শরীরে এলোপাথারি আঘাত করেতে থাকে। ঈমাম শরিফুলের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎকসক ডাক্তার একরাম এলাহী বলেন, আহত ঈমাম সাহেবের মাথায় গুরতর দুইটি জখম রয়েছে। এছারাও তার শরীরে আরো আঘাতের চিহ্ন আছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা তাকে নিবীর পর্যবেক্ষনে রেখেছি। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা বা অন্যত্র প্রেরণ করা হবে।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে ঈমাম সাহেবের খোঁজখবর নিয়েছি। হামলাকারি সোলায়মানকে দুপুর দেড়টার দিকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এবিএন/নজরুল/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত