![কুলাউড়ায় আত্নহত্যা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/08/25/molovibazar_abnews24-copy_96676.jpg)
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২৫ আগস্ট, এবিনিউজ : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় গত দুই বছরে (জুলাই-১৫ থেকে জুন-১৭ পর্যন্ত) গলায় ফাঁস দিয়ে এবং বিষপানে ৯০ জন আত্মহত্যা করেছে। এরমধ্যে চা-বাগানগুলোতে ১৯ জন রয়েছে। শুধু কুলাউড়া থানায় আত্মহত্যা করেছেন ২৮ জন। এ অবস্থায় আত্মহত্যা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চা-বাগান ও মসজিদে মসজিদে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফ এর পক্ষ থেকে তিন উপজেলায় এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও চিঠিতে দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছরে কুলাউড়া, বড়লেখা এবং জুড়ী থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে এবং বিষপানে ৯০ জন আত্মহত্যা করেছে। এরমধ্যে চা-বাগানগুলোতে রয়েছে ১৯ জন। কুলাউড়ায় ২৮, বড়লেখায় ২৪ এবং জুড়ীতে ২৫ জন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেন। ব্যক্তিজীবনে হতাশা ও পারিবারিক কলহের কারণে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবু ইউছুফ জানান, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি কুলাউড়া সার্কেলে যোগ দেওয়ার পর এর আওতাধীন ৩ টি থানা পরিদর্শনে গিয়ে বিগত দিনের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান দেখে বিস্মিত হন। তাই আত্মহত্যার কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এর আগেও মসজিদের ইমামগনের কাছে চিটি দেয়া হয়েছে। এবার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ ও চা-বাগানগুলো আত্মহত্যার কুফল নিয়ে আলোচনা করার জন্য চিটি পাঠিয়েছি।
আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানী, কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য বলেন, সামজিক অস্থিরতা আত্মহত্যার প্রধান কারণ। এছাড়া পারিবারিক বন্ধনের অভাব, মাদক, হতাশা, পারস্পরিক সহমর্মিতার অভাব এবং দুঃখ ও হতাশা প্রকাশের সুযোগ না পেয়ে মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/তোহা