
খাগড়াছড়ি, ২৭ আগস্ট, এবিনিউজ : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আওতায় হস্তান্তরিত বিভাগ স্বাস্থ্য বিভাগ সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করে ১২লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করা স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যানবাহন মেরামতের জন্য আসা বরাদ্দের পৌনে ১২লাখ টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মূল টেন্ডার কমিটিকে বাদ দিয়ে গোপন সাব-কমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে থাকাকালীন সিভিল সার্জন(বর্তমানে কক্সবাজারে কর্মরত) ডা: মো: আবদুস সালামের স্বাক্ষর জাল করে অফিসের একটি চক্র এ ঘটনা ঘটায়।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ৭ই জুন ওই সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশে ১৫দিনের মধ্যে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স(ঢাকা মেট্রো, ছ-৭১-১০২৩), সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স(ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-০২৯৬), লক্ষীছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স(খাগড়াছড়ি-ছ-৭১-০০০৪) সিভিল সার্জন অফিসের জীপ গাড়ী(ঢাকা মেট্রো-ছ-১১-৪৮৫৯) মেরামত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন ডা: মো: আবদুস সালাম তার স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: জাহেদ হোসেন, হিসাব রক্ষক প্রিয় রনজন বড়ৃয়া ও স্টোর কিপার রেজাউলসহ কয়েকজন মিলে আমার স্বাক্ষর জাল করে পৌনে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। এ ঘটনায় আমি ঢাকার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ও দুদকে অভিযোগে দাখিল করেছি।
এ বিষয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের হাতে ন্যস্ত স্বাস্থ্য বিভাগের দ্বায়িত্বে থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টেন্ডার কমিটির আহব্বায়ক পরিষদ সদস্য মো: জব্বার জানান, আমরা কোন যানবাহন মেরামতের টেন্ডার করিনি। একই কথা বলেন টেন্ডার কমিটির অন্যতম সদস্য ডা: টুটুল চাকমা।
খাগড়ছড়ির বর্তমান সিভিল সার্জন ডা: মো: শকওত হোসেন জানান, যানবাহন মেরামতের ব্যয় দেখিয়ে আগের সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি সাবেক সিভিল সার্জন(বর্তমানে কক্সবাজারে কর্মরত) ডা: মো: আবদুস সালাম তাকে নিশ্চিত করেছেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: জাহেদ হোসেন বর্তমানে ৪৫দিনের ছুটি নিয়ে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে রযেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যলয়ের হিসাব রক্ষক প্রিয় রনজন বড়ুয়া যানবাহন মেরামতের বিল প্রদান করেছেন স্বীকার করে জানান, কী ঘটনা ঘটেছে তা আমি জানিনা, সব কিছু জানেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে এ কার্যালয়ে নানা অনিয়ম ও ভুয়া বিল ভাউচার, ভ্রমণ ভাতা দেখিয়ে একটি চক্র নয় ছয় করে আসছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।
এদিকে সাক্ষর জালের বিষয়টি অভিযোগে প্রকাশ পাওয়ার পর জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি শহরের একটি স্থানীয় গ্যরেজে নিয়ে গিয়ে মেরামতের কাজ চলছে বলে নাম সর্বস্ব দেখানো হয়েছে।
এবিএন/ চাইথোয়াই মারমা/জসিম/নির্ঝর