বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মা‌নিকগ‌ঞ্জে শিক্ষক ও অভিভাবকদের পেটালেন আওয়ামীলীগ নেতা

মা‌নিকগ‌ঞ্জে শিক্ষক ও অভিভাবকদের পেটালেন আওয়ামীলীগ নেতা

মা‌নিকগ‌ঞ্জে শিক্ষক ও অভিভাবকদের পেটালেন আওয়ামীলীগ নেতা

‌মা‌নিকগঞ্জ, ২৯ আগস্ট, এবিনিউজ : ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের পিটিয়েছেন এক আওয়ামীলীগ নেতা ও তার অনুসারীরা।

সোমবার মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বরংগাইল গোপাল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মহাদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আক্তার খাজা ও তার অনুসারীদের মারপিটে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। অাহতদের মধ্যে চারজনকে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বরংগাইল গোপাল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফর রহমান জানায়, সোমবার দুপু‌রের দিকে শিবালয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: খবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো । বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের এই সভায় বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুল, অভিভাবক প্রতিনিধি আব্দুল আলীম, শরিফুল ধ্বনি, একেএম ফজলুল হক, মো. সোহরাব হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. মোন্নাফ আলী, মো. রফিকুল ইসলাম ও চিনু রাণী বসাক, সংরক্ষিত নারী অভিভাবক প্রতিনিধি হোসনে আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম খানের নাম প্রস্তাব করেন অভিভাবক প্রতিনিধি একেএম ফজলুল হক। এই প্রস্তাবটি সমর্থন করেন আরেক অভিভাক প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন। সভাপতি পদে আর কোন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব না আসায় আব্দুর রহিম খান সভাপতি পদে নির্বাচিত হন এবং বিদ্যাল‌য়ের খসড়া রেজুলেশনে তা লিপিবদ্ধ করা হয়।

সভাপতি পদে নির্বাচন শেষে সেখানে উপস্থিত হন মহাদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আক্তার খাজা এবং তার লোকজন। সভাপতি পদে তার নাম প্রস্তাব না করে আব্দুর রহিম খানের নাম প্রস্তাব করায় তিনি এবং তার লোকজন সোহরাব হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে।

আহত জালাল সরকার জানায়, সভাপতি হতে না পেরে খাজা ও তার ঘনিষ্ট সহচর এলাকার চিহ্নিত বখাটে আজিজসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক প্রতিনিধি সোহরাবকে মারপিট করে। ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে খাজা ও তার অনুসারীরা তাকে ও তার ছেলে ফরিদ মোল্লা, আফজাল সরকারসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তারা তার পরনের জামাকাপড় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যত্বা স্বীকার করে জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: খবির উদ্দিন জানায়, তিনি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে গত ২৩ আগষ্টের নির্বাচনটি তিনি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছেন। সভাপতি পদে নির্বাচনের ধার্য দিনে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং হামলার ঘটনার সত্যত্বা স্বীকার করেন। তিনি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবেন বলে জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহাদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আক্তার খাজার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

‌এবিএন/মো: সো‌হেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত