![মেলান্দহে ৩ লাশ উদ্বার, গ্রেপ্তার ১](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/09/04/jamalpur_abnews24 copy_98230.jpg)
জামালপুর, ৪ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : জামালপুরের মেলান্দহে ৩সেপ্টেম্বর একই দিনে ৩ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিক্ষুব্দ জনতার হাতে আটক হত্যা মামলার আসামী মিনালকে উদ্ধারকালে ওসি মাজহারুল করিম ও দুরমুঠ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরীর উপর হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। নিহতরা হলেন-বীরহাতিজা গ্রামের ময়নাল হকের মেয়ে মিনা (২৯), সাদিপাটি গ্রামের ময়না ফকিরের ছেলে ফারুক ফকির (৩৪) ও হরিনাপাই গ্রামের শান্ত মিয়ার ছেলে শোভ মিয়া ওরফে বাবু (৩৫)।
অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল করিম ও ইউপি চেয়ারম্যান জুবেরী জানান-স্বামী মিনাল তার স্ত্রী মিনাকে হত্যা লাশ পানিতে ফেলে দেয়। এরপর ঈদের দিন সকালে শ^শুরবাড়িতে সন্তান আনতে যায়।
এ সময় মিনালের অসংযত কথা বার্তায় স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটকে রাখে। পরদিন সকালে কলাবাধা গ্রামের একটি পুকুরে হাত-পা-মুখ বাধা বস্তাবন্দি লাশ ভেসে ওঠে। স্বজনরা লাশ সনাক্ত করার পর পুলিশ আসামী মিনালকে উদ্বার করতে গেলে ওসি ও চেয়ারম্যান জনতার রোষানলে পড়লে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। পরে পুলিশ-জনতা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ ও চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালায়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ-আসামী শ^শুরালয়েী এসে বলে-তার স্ত্রী মিনাকে নারায়নগঞ্জে ১৫হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। এমন উল্টাপাল্টা কথায় আমাদের সন্দেহ হয়। তাকে আটকে রেখে পুলিশ হেফাজতে নিতে চেয়ারম্যান-ওসিকে কাছে যাওয়া হয়। পুলিশ অভিযোগের পাত্তা দেয়নি।
পরদিন ওসি সিভিলে এসে আসামীকে নিয়ে টেনে হেচড়া করলে জনতার রোষানলে পড়ে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ জনতা হত্যাকারীর ফাঁসীর দাবীতে মিছিল-মিটিং করেছে। খবর পেয়ে পাশের ইসলামপুর থানা পুলিশ ওসি এবং আসামীকে উদ্ধার শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হত্যার মুটিভ কিংবা হত্যার সাথে আরো কেও জড়িত কিনা তদন্তের পরে বলা যাবে। চেয়ারম্যান জুবেরী জানান পরকিয়ার কারণেই হত্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওদিকে হত্যাকারীর মেয়ে ৬ষ্ঠ শেণির ছাত্রী মমিতা (১৩) ও ১ম শ্রেণির ছাত্র ই¯্রাফিল (৯) জানিয়েছে, পিতার আরো ৩ মেয়ের সাথে পরকিয়ার জের ধরে মায়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মাকে তালাক দেয়ার পর আবারো গ্রহণ করেছে।
ইতোমধ্যেই পিতা সেলিনা নামে আরেক মেয়েকে বিয়ে করেছে। এ নিয়ে দাম্পত্ত কলহ চলছিল। প্রায় দুই মাস আগে স্বামী মিনাল তার স্ত্রী মিনাকে নিয়ে ঢাকার নারায়নগঞ্জের এক গার্মেন্টসে চাকরী নিয়েছিল।
অপরদিকে, সাদিপাটি গ্রামের ময়নাল ফকির ও ফতু ফকিরের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে ফারুক (৩৪) আহত হয়। ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি হবার পর মারা যান। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা ময়না ফকির বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ওই দিন নববিবাহিত স্ত্রীর সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন-হরিনাপাই গ্রামের শোভ। সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্বার করেছে।
এবিএন/জামাল/জসিম/এমসি