
বান্দরবান, ০৪ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম ও তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গত তিন দিনে গুলি ও বিস্ফোরণে দুই ব্যক্তি নিহত ও এক নারী আহত হয়েছেন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়ানমারের প্রায় ৫০ মিটার ভেতরে ঘটা বিস্ফোরণে এক নারীর পা উড়ে গেছে। আজ সোমবার বিস্ফোরণে আহত নারীকে রেড ক্রিসেন্টের অ্যাম্বুলেন্সে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের একটি গ্রামের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়াসহ কালো ধোঁয়া উড়তে দেখার কথা জানিয়েছেন রয়টার্সের সংবাদদাতারা।
সোমবার মিয়ানমারের তাউং পায়ো গ্রামের কাছে বিস্ফোরণের আগে গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া এবং আগুন দেখতে পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।
গত ২৪ অগাস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাব মতে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমারে সহিংসতা দেখা দেওয়ার পর কক্সবাজারে তৈরি হওয়া অস্থায়ী একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র এখন বেশ বড় আকার ধারণ করেছে। মিয়ানমার থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা এই ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলি হোসেন রয়টার্সকে বলেন, নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা নতুন ক্যাম্প বানানো চেষ্টা করছে। তবে সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বাধা দিচ্ছে না অথবা এরই মধ্যে বানানো ক্যাম্প ভেঙে দিচ্ছে না।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি