শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মেলান্দহে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু : এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়

মেলান্দহে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু : এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়

মেলান্দহে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু : এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়

জামালপুর ১১ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : জামালপুরের মেলান্দহে পানিতে পড়ে শিশু তাওহিদের মৃত্যুর ঘঁনায় তোলাপাড় সৃষ্টি করেছে। হত্যা নাকি! অপমৃত্যু? এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের শেখ সাদি গ্রামে। জানাগেছে, গত ০৪ সেপ্টেম্বর ফরিদুল ইসলামের ছেলে তাওহিদ আল হাসান (৮) পানিতে পড়ে মারা যায়। মৃত্যুর জন্য তাওহিদের পিতা ফরিদুলের প্রতিবেশী আ: সাত্তারকে দায়ী করা হয়। ফরিদুলের পরিবারের অভিযোগ সাত্তার তাওহিদকে পানিতে ফেলে লাঠি দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছে।

সাত্তার পরিবারের পাল্টা অভিযোগ করে বলা হয়, ওই দিন সাত্তার তার দুই নাতিন সিয়াম (৭) ও তিথি (৮)কে নৌকায় তুলে বাড়ি সংলগ্ন রৌমারী বিলে বেড়াতে যান। এসময় তাওহিদ ও তার ফুফাত বোন নুপুরও (৮) সাত্তারের নৌকায় যেতে চায়। কিন্তু সাত্তার তাদের নৌকায় নেন নি। সাত্তার জানান- বিলের ওপাড়ে চলে গেছেন। এমন সময় চিৎকার শুনতে পান। দ্রুত ফিরে এসে জানতে পারেন-তাওহিদ ও নুপুর পানিতে পড়েছে। পাড়াপড়শীরা দ্রুত নুপুরকে জীবিত এবং তাওহিদকে মৃতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মুহুর্তেই তাওহিদের মুত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। লাশ দাফনের প্রস্তুতিকালে সাত্তারের বিরুদ্বে তাওহিদ হত্যার অভিযোগ তোলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ ঘঁনাস্থলে হাজির হয়। শিশু তাওহিদের মৃত্যুর বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে তাওহিদের দাদা আবু বকর বাদি হয়ে মেলান্দহ থানায় অপমৃত্যু মামলা নং-১০ দায়ের করা হয়।

অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল করিম জানান- সুরৎ হাল রিপোটে আঘাতের চিহ্ন পায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের আগে কিছুই বলা যাবে না।

সরেজমিনে গেলে তাওহিদ এবং সাত্তার পরিবার সাংবাদিকদের কাছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। তাওহিদের দাদা আবু বক্কর জানান-পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দৃশ্যটি শতশত মানুষ দেখেছেন। প্রকাশ্যে নিস্পাপ শিশুকে হত্যাকালে কেন আপনারা কিংবা এলাকাবাসি সাত্তারকে আটক করলেন না? এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে পুলিশের কাছে তথ্য দেননি কেন? জানতে চাইলে আবু বক্কর কোন সদোত্তর দেন নি।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফজলসহ এলাকাবাসির সাথে এ বিষয়ে কথা বল্লে তারা জানান-সাত্তারের এক ভাতিজার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ৮/১০টি মামলা চলছে। তারা প্রকাশ্যে হত্যার অভিযোগের কথাটি আমলে নিতে নারাজ। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এলাকাবাসি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেছেন।

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত