![মুন্সীগঞ্জে স্বর্ণব্যবসায়ী ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/09/12/sorno@abnews_99457.jpg)
মুন্সিগঞ্জ, ১২ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারে বলরাম দাস নামে এক স্বর্ণব্যবসায়ী ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাধন স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক বলরাম দাস স্থানীয় লৌহজং ও বালিগাঁওয়ের ২৫/৩০জনের কাজ থেকে ৪কোটি টাকা নিয়ে স্বপরিবারে ভারত পালিয়ে যায়। তার বাড়ি লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নে। তিনি এলাকার লোকজনের কাছ থেকে উচ্চ হারে সুদের প্রলোভন দেখিয়ে এই টাকা হাতিয়ে নেয় বলে স্থানীয়রা জানায়। এর প্রায় এক মাস আগে শ্যামল সরকার নামে আরেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ৫ কোটি টাকা নিয়ে স্বপরিবারে ভারত পালিয়ে যায়। রিয়া গহনালয়ের মালিক স্বপন বৈদ্য এর কাছে সুদের ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমাদের কোন বৈধ কাগজ পত্র নেই। রণিত স্বর্ণশিল্পালয় প্রো: রতন বৈদ্য, মায়ের আশির্বাদ প্রো: নয়ন চন্দ্র সরকার, বাবা লোকনাথ সাধনা স্বর্নালয় প্রো: পরিমল চন্দ্র মন্ডল। এদের সুদের ব্যবসার বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকার পরও তারা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক সুদের ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বালিগাঁও বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. আরিফ বলেন,শ্যামল সরকার যখন পালিয়ে যায় বহু মানুষের বাজারের সাধারন সম্পাদক হিসেবে আমার অনেক কথা শুনতে হয়। এরপর গুঞ্জন শুনি শতরূপা জুয়েলার্সের মালিক বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমি গোপাল গোস্বামীকে পাওনাদারদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দেওয়ায়। আমার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে।এরপরই বলরাম দাস পালিয়ে যায়। আমরা এখন আতঙ্কিত। আবারও কোন ব্যবসায়ী পালিয়ে গেলে আরও মানুষ প্রতারিত হবে বলে মনে করি।ভূক্তভোগী লৌহজংয়ের বিজয় সরকার বলেন আমার ৩০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলরাম। সরস্বতীর ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে শ্যামল সরকার বলে তিনি জানান। এমন অনেক লোকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলরাম ও শ্যামল সরকার। তারা এখন বাজারে এসে ভিড় জমাচ্ছে। বালিগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান এব্যাপারে সরকারী ভাবে কোন ব্যবস্থা না নিলে আরও ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।বালিগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল হাজী জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে আমাদের কিছুই করার নেই। হিন্দুদের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। সে জন্য আমরা কি করতে পারি।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি ইয়ারদৌসজানান, এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/নির্ঝর