![ঝালকাঠিতে অসহায় সাহিদার সংবাদ সম্মেলন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/09/13/jhalokathi-shahida@abnews_99624.jpg)
ঝালকাঠি, ১৩ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান ও পারিবারিক জমি-জমা ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার কানুদাশকাঠি গ্রামের মৃত নয়ন তালুকদারের কন্যা সাহিদা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি, পৈত্রিক সহায়-সম্পত্তি ফেরত ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের বসত ঘর ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে সাহিদা বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভান্ডারিয়া বাজারের করিম হাওলাদারের পুত্র শাহ আলম হাওলাদার, দলিল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র করিম হাওলাদার, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদশকাঠি গ্রামের বিশাই মোল্লার পুত্র সুরাত মোল্লা, সুরাত মোল্লার স্ত্রী দোলেয়ারা বেগম, সুরাত মোল্লার আরেক স্ত্রী জোবেদা বেগম, ইউসুফ মল্লিকের পুত্র মিজানুর রহমান ও ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষীপুরা গ্রামের আজাহার মল্লিকের পুত্র শহিদুল আলম এবং নুরুল আলমের সাথে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ও একাধিক মামলা চলমান ছিল। এর মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিলে প্রতিপক্ষরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। এমন কি রাগ ও ক্ষোভের মুখে প্রতিপক্ষ মহলটি নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে।
সাহিদা আরো অভিযোগ করেন, ২০১৬ সনের ২ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী আব্দুর রহিমের স্ত্রী দুলু বেগমকে অজ্ঞাত লোকজন খুন করলে প্রতিপক্ষরা স্থানীয় প্রভাবশালি একটি রাজাকার পরিবারের সহযোগীতায় নিহতের বোন লাইজু বেগম বাদী করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা দায়ের করে। আর সেই মামলায় বড় বোন লাকি বেগম, তার স্বামী জামাল খান, বোন সাহিদা বেগম, তার মা চেয়ার বানু, ভাই সাহেব আলীসহ ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় বড়বোন লাকি বেগমসহ তার মা, ভাই-বোনকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে প্রভাবশালি রাজাকার পরিবারের শেল্টারে প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে লুটতরাজ করে নগদ ২৩ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্নালংকার লুটে নেয়। এমন কি পরের দিন লাকি বেগমের পরিবারের অনুপস্থিতিতে তার নতুন ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় ও প্রায় ৮/১০ লাখ টাকা মূল্যের গাছ-পালা কেটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে প্রভাবশালি রাজাকার পরিবারের সন্তান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার কাজে বাধা দিচ্ছে এবং মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করতে সহযোগীতা করছে। অথচ পুলিশ যদি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাহলে দুলু বেগম হত্যার মামলায় বর্তমানে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা সকলেই নিরপরাধ হিসাবে মুক্তি পাবেন ও প্রকৃত যারা খুন করেছে সেই খুনীরা ধরা পরবে। সাহিদা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমরা দুলু বেগমের প্রকৃত খুনীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আসামী হিসাবে অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়ে নিরাপদে বেচে থাকার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য সাহিদা বেগম জানায়, বর্তমানে আমাদের প্রতিপক্ষরা হুমকি ধামকি দিয়ে বলছে, ‘তোদের ঘর বাড়ি জমিজমা, গাছপালা সবইতো গেছে এখোন বাকি শুধু তোদের জান কয়টা যওয়া। চিন্তা করিসনা একটু অপেক্ষা কর, তোদের কিভাবে হারাবি তা তোরা নিজেরাও টের পাবিনা’।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর