![খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বিশ্ব জলাতংক দিবস পালিত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/09/29/khagrachar--international-r_102432.jpg)
খাগড়াছড়ি, ২৯ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় “জলাতংক সম্পর্কে জানুন-২০৩০সালের মধ্যে নির্মূল করুন” প্রতিপাদ্যে বিষয়ে বিশ্ব জলাতংক দিবস পালিত হয়েছে । বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ’র হস্তান্তরিত বিভাগের জেলা প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজনে শোভাযাত্রা বের করা হয়। প্রানীসম্পদ কার্যালয় প্রাংগন থেকে র্যালী শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাংগনে এসে শেষ হয় জলাতংক রোগ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানর ইত্যাদি প্রানীর কামড়ে ছড়ায়। জলাতংক রোগ প্রতিরোধের জন্য কুকুর, বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দিতে সচেতনতামূলক লিপলেট/পোষ্টার প্রদর্শন করা হয়।
পরে খাগড়াছড়ি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মো: জিয়া আহম্মেদ সুমন, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আব্দুল কাদের। খাগড়াছড়ি জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ড. শেখ আব্দুল মান্নান সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহালছড়ি উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: তুষার কান্তি চাকমা, মাটিরাংগা উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা; পলাশ কান্তি চাকমা প্রমুখ। এসময় ৯টি উপজেলার প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ড. শেখ আব্দুল মান্নান জানান, জলাতংক জোনেতিক রোগ। মানুষ থেকে পশু, পশু থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে মানুষে, পশু থেকে পশুও ছড়ায়। মানুষের এই রোগের আক্রান্ত ৯৯শতাংশ কুকুর কামড় থেকে হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিড়ালের কামড়, শিয়ালে, বিজি, বাদুর, বন বিড়ালসহ ইত্যাদি রেবিজে বা জলাতংক আক্রান্ত পর কামড় থেকেও এই রোগ ছড়ায়।
জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা আরো বলেন, ৬-১৫বছর বয়সের ছেলে-মেয়েদের এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশী। আবার ছেলে শিশুদের আক্রান্তের হার মেয়ের শিশু হারের থেকে বেশী। বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, রাস্তা কুকুরদের অযথা জ¦ালাতন না করলে কুকুরের বাচ্চার কাছে না গেলে এবং যেখানে কুকুর থাকে, তার থেকে একটু কাছ থেকে হেতে গেলে, কুকুরের চোখে চোখ না রাখলে এবং কোন সময়ে কুকুর যদি খুব কাছে চলে আসে সেই সময় ভয়ে দৌড়ে না গিযে শান্তভাবে অবস্থান করলে কুকুরের কামড়ের সম্ভাবনা কম থাকে।
তিনি আরো বলেন, এই রোগ হলে এর কোন চিকিৎসা নাই। মৃত্যু অবধারিত, তাই কুকুর কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে পর্যাপ্ত পরিমান পরিস্কার পানি ও সাবান দিয়ে সংগে সংগে দ্রুত ধৌত করাতে হবে। এর পর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে যথা পরিমান টিকা নিতে হবে। রোগাক্রান্ত পশু দিয়ে কামড় খেলে কোন কবিরাজের কাছে না গিয়ে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী উচিত।
এবিএন/চাইথোয়াই মারমা/জসিম/নির্ঝর