![লক্ষ্মীপুরে আনছার-পুলিশ মিলে গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/09/30/abnews-24.bbbbbbbbbbb_102613.jpg)
লক্ষ্মীপুর, ৩০ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জে আনছার-গ্রাম পুলিশ মিলে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আনিছুল হক চৌধুরীদের দীর্ঘ চল্লিশ বছরের দখলীয় সম্পত্তি আনসার ও গ্রামপুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ ইসমাইলগংরা গাছ কর্তন ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানাযায়। গতকাল শুক্রবারসকাল ১১ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন ঘুরে গ্রামবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাযায়, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে আনিছুল হক চৌধুরী সর্দার সাথে তার সৎ ভাই ইসমাইল জায়গাজমিন নিয়ে বিরোধ করে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ইসমাইলগংরা আনিছুল হকের পুত্র আব্দুল খালেক ও দুলালকে কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষগণের সাথে সেখানে উপস্থিত থাক গ্রাম পুলিশ ও আনছার সংঘর্ষে জড়িয়ে তাদেরকে প্রচন্ড লাঠিপেটা করে।
এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনারস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রুপ ধারন করে। আনিছুল হকের পুত্রদের ওপর আনছার, গ্রামপুলিশ ও প্রতিপক্ষগণের নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদী গ্রামবাসী পুরো ঘটনারস্থল ঘিরে ফেললে তাদের রোসনালে পড়ে ওই হামলাকারীরা। পরে পার্শ্ববর্তী তোরাবগঞ্জ ইউপির গ্রামপুলিশ ও জনতা মিলে তাদেরকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানাযায়। এ ব্যাপারে আনিছুল হক চৌধুরী জানান, আমাদের দীর্ঘ ৪০বছরের মালিকানা সম্পত্তি ইসমাইল গংরা তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, গ্রামপুলিশ ও আনছার বাহিনীসহ ১৫/১৬জন কে এনে তারা সকলে মিলে জোরপূর্বক আমাদের জমিনের ৭টি গাছ কেটে জমি দখল নিতে গেলে আমরা বাধা দিলে তারা চেয়ারম্যানের সামনে আমার ছেলে দুলাল ও খালেক কে মারপিট করে কুপিয়ে জখম করে। আহত খালেক জানান, চেয়ারম্যান, মেম্বার জাফর ও সফিকের উপস্থিতিতে চৌকিদার, আনছার ও ইসমাইলগংরা আমাদেরকে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদমূখর প্রায় তিন শতাধিক লোজনের উপস্থিতে তাদের পক্ষ হয়ে স্থানীয় সমাজসেবক মন্তাজ মাঝি জানান, চেয়ারম্যান তার পরিষদের মেম্বার, চৌকিদার, দফাদরা ও আনছারদের এনে আনিছুল হকের জমির দখল ও গাছকাটে এবং আনিছুল হকে দুই ছেলেকে তারা বেধম মারপিট করে। আমরা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে আনছার চৌকিদার দিয়ে আমাদেরকে লাঠিচার্জ করে। আমরা এ অন্যায় কাজের বিচার চাই।
তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওমর হোসাঈন ভুলু জানান, ৯নং ওয়ার্ডে আনিছুল হক ও ইসমাইল গংদের সাথে জমি নিয়া বিরোধ ছিল। আমার কাছে ইসমাইল অভিযোগ করেছে। কয়েকবার জমি পরিমাপ করা হয়েছে।আনিছুল হকরা পরিষদের সিদ্ধান্ত মানেনা। ঘটনারদিন বিরোধীয় জমিতে তারা ঘর উত্তোলন করবে এমন সংবাদ পেয়ে আমি ৮জন গ্রাম পুলিশ, ৪জন আনছার, সফি মেম্বার ও জাফর মেম্বারকে ঘটনারস্থলে পাটিয়েছি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমি পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে শৌরচিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি, আনছার চৌকিদার আত্মরক্ষার্থে লাঠিপেটা করেছে এবং ৪জন চৌকিদার আহত হওয়ার খবর তিনি জানান।
এবিএন/রবিউল এহসান রিপন/জসিম/তোহা