বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • এজিদের বংশধররাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে : মানিকগঞ্জে তথ্যমন্ত্রী

এজিদের বংশধররাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে : মানিকগঞ্জে তথ্যমন্ত্রী

এজিদের বংশধররাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে : মানিকগঞ্জে তথ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ, ০১ অক্টোবর, এবিনিউজ : তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যে এজিদ, সীমার ইমাম হোসেনকে হত্যা করেছিলো সেই এজিদের বংশধরেরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে মানুষ হত্যা করে, নারী নির্যাতন করে তারাই ২১ আগষ্টে হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার অপচেষ্টা চালায়। পবিত্র মহররম উপলক্ষে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইমাম বাড়িতে আশুরার শোক সভা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, যারা রাজাকার, জঙ্গি, জামাত এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে যারা মিটিমাট করার কথা বলে তারা এজিদের বংশধর। তাদের সাথে কোন মিটমাট হতে পারে না। ওদের ধ্বংস করতে হবে। ধ্বংস না করলে বারে বারে এজিদরা আসবে আর নেতা নেত্রীদের হত্যা করবে।

এজিদের বংশধররা জামায়াতের রুপে জঙ্গি হয়ে দেশে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে । সারাদেশ এখন জঙ্গি দমনের যুদ্ধ চলছে। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে বাংলাদেশের ওপর অসাম্প্রদায়িকতার ছাতা তুলে ধরেছেন। কিন্তু তার পরেও অতীতের রেশ ধরে ঐ এজিদের বংশধররা এখনো মানুষকে পুড়িয়ে মারছে ও মসজিদ-মন্দিরে হামলা করছে । আসুন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বে এজিদের বংশমুক্ত একটি সোনার বাংলা গড়ি। আজ রবিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের ইমাম বাড়ীতে শোকসভায় গড়পাড়া ইমাম বাড়ীর পীর শাহ্ মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার তোবারক হোসন খান লুডু, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এ্যাড. বাদরুল ইসলাম খান বাবলুসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রাজধানীর অদূরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইমামবাড়ি থেকেও স্মরণাতীতকাল হতে মহররমের মিছিল বের হয়। শুধু শোক মিছিল বের করা নয়, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে কারবালার শোকবিধুর ঘটনা, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে আসছে গড়পাড়া ইমামবাড়ি। পবিত্র মহররম উপলক্ষে গড়পাড়া ইমামবাড়িতে ১০ দিনের ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। এবারও ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস ‘মহররমের’ চন্দ্রোদয়ের দিন থেকে ইমামবাড়ি প্রাঙ্গণ রূপ নিয়েছে শোকসংকুল ক্ষেত্রে। চন্দ্রোদয়ের দিন সন্ধ্যায় বেজে উঠেছে ইমামবাড়ির দামামা। কারবালার যুদ্ধের স্মরণে প্রায় শতবর্ষ যাবৎ সংরক্ষিত আছে এ বিশাল ডঙ্কা। এরপর ইমামবাড়ির দ্বার উদ্ঘাটন করা হয়। শুরু হয় বিভিন্ন কার্যক্রম। প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় আয়োজিত হচ্ছে মিলাদ, ফাতেহা, নেয়াজ, মার্সিয়া-মাতম। এর সঙ্গে ইমাম হোসেনের সততা ন্যায় নিষ্ঠার কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

মহররমের ১ তারিখ থেকে বের হয়েছে ২৮টি কাসেদের দল। কারবালার বেদনা-বিধুর ঘটনা জারি-মার্সিয়ার মাধ্যমে প্রচারের জন্য ইমামবাড়ি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় সর্বত্র, বৃহত্তর ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পাবনা, রাজশাহী, নাটোর জেলার লালপুরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যায় কাসেদের দল। সপ্তাহকালের বেশি সময় পর আশুরার দিন ইমামবাড়িতে ফিরে আসে ওইসব কাসেদের দল। রোববার (১ অক্টোবর) আশুরার দিন জোহরের নামাজের পর পবিত্র নেয়াজ পর্ব শেষে বের হয়েছে বিরাট শোক মিছিল। বাংলা একাডেমির এক সমীক্ষায় জানা গেছে, গড়পাড়া ইমামবাড়ির মহররমের মিছিলটিই সম্ভবত দেশের বৃহত্তম শোক মিছিল। ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে মানিকগঞ্জ শহরের উদ্দেশে বিশাল মিছিলের যাত্রা শুরু হয় বেলা ৩টায়।

পবিত্র তাজিয়া-তাবুৎ, দুলদুল ও কারবালার স্মৃতিবহনকারী হাজার হাজার লাল সবুজ ও কালো নিশান সম্বলিত মিছিল শহর প্রদক্ষিন শেষে মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে মাগরিবের নামাজের সময় গিয়ে উপস্থিত হয়ে হাজার হাজার ইমাম ভক্ত রোজা শেষে ইফতার করে কলেজ মাঠে। তারপর শুরু হয় ইমাম হোসেন ও তার ৭২ সঙ্গীর স্মরণে শোকসভা। গড়পাড়া ইমামবাড়ি দরবার শরিফের খাদেম শাহ্ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই স্মরণসভায় স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত থাকবেন। কারবালার মহান শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি মুসলমানদের শান্তি, সম্প্রীতি ও সংহতি এবং বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এবিএন/সোহেল রানা খান/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত