![নিস্তরঙ্গ চিতলমারী আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/02/bagerhat_abnews24_102907.jpg)
বাগেরহাট, ০২ অক্টোবর, এবিনিউজ : বাগেরহাটের নিস্তরঙ্গ চিতলমারী উপজেলা আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রূবেল ফ্যাশনের কর্মচারী শাকিল মুন্সি’র (১৯) উপর হামলা’র পর ব্যবসায়ীরা দুইদিন ধরে মাইকিং, মানব বন্ধন ও জরুরী সভা করেছে। গতকাল রবিবার রাতে তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে থানা ভবনে জড়ো হয়ে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। চিতলমারী বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম লিটন জানান, গত শনিবার দুপুরে ২০-২৫ জন যুবক অতর্কিত উপজেলা সদর বাজারের শেরে বাংলা মার্কেটের রূবেল ফ্যাশনে হামলা চালায়।
এ সময় তারা দোকানের কর্মচারি রূবেল মুন্সিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দুইদিন ধরে মাইকিং, কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সামনে মানব বন্ধন ও জরুরী সভা করে। সভাশেষে রোববার রাতে তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে থানা ভবনে জড়ো হয়ে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় ব্যবসায়ীরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলেও তিনি জানান। চিতলমারী সবুজ সংঘের সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, ব্রিটিশ আমল থেকেই চিতলমারী একটি সমৃদ্ধ বাজার। প্রতিদিন এখানে দূর-দূরান্ত থেকে অগনিত মানুষ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আসেন। বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা যুগযুগ ধরে এ বাজারে শান্তিতে ব্যবসা-বানিজ্য করে আসছেন।
কিন্তু এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বছরে দু’তিন বার এ বাজারে হামলা, মারপিট ও নানা ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তখন অহেতু সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। শনিবার দুপুরে রূবেল ফ্যাশনের কর্মচারী শাকিল মুন্সি’র উপর হামলার ঘটনায় নিস্তরঙ্গ চিতলমারী উপজেলা আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তিনি দ্রুত এ বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসন ও স্থানীয় গর্ন্যমান্য ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার জানান, রূবেল ফ্যাশনে হামলা ও শাকিল মুন্সিকে মারপিটের ঘটনায় শাকিলের বাবা আকরাম মুন্সি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এবিএন/এস.এস সাগর/জসিম/তোহা