
বাগেরহাট, ০৪ অক্টোবর, এবিনিউজ : ‘দুঃখের কথা কি বলব ভাই। নিজেকে এখন আর মানুষ বলে মনে হয় না। আপনারাই কন এরেকি বাঁচা কয়। এভাবে কি বাঁচা যায়। তবুও খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। এভাবে আর কত দিন।’-চরম দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে কথা গুলো জানালেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন উত্তর খলিশাখালী আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা তৃষ্ণা চক্রবর্তী।
নিঝুম এ পল্লীতে থেকেই তিনি নানা বাধা উপেক্ষা করে বানিজ্য বিভাগে বিএ (বি.কম) পাশ করেছেন। কিন্তু আজও ভাগ্যে জোটেনি চাকরি বা কোন কর্ম। শিক্ষিত হয়েও আশ্রায়ণ প্রকল্পের অসহায় মানুষ গুলোর জন্য তিনি কিছুই করতে পারেননি। আর এ না পারার গ্লানি থেকে তার এই আক্ষেপ।
তৃষ্ণা চক্রবর্তী আরও জানান, উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন দুই একর ৬৯ শতক জমির উপর ১৯৯৮ সালের ১৮ জুলাই উদ্বোধন হয় উত্তর খলিশাখালী আশ্রায়ণ প্রকল্প। সেই থেকে সেখানে বাস করে আসছে ২০টি হিন্দু পরিবার। এখানের সকলেরই নুন আন্তে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা।
বর্তমানে ভাঙা-চোরা ঘরবাড়ি আর স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে সবাই মানবেতর ভাবে জীবন-যাপন করছে। তারপরও নেই স্যানিটেশন ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। অথচ বাড়ির সামনে থেকে গেছে বিদ্যুতের লাইন। এতগুলো মানুষের জন্য নেই কোন পানীয় জলের ব্যবস্থা। এখানে শুধু নেই আর নেই। তবুও কেউ খোঁজ রাখে না তাদের।
এ আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মমতা বাইন, কোমল পাল, শ্যামল মিস্ত্রি, শংকর চক্রবর্তী, সুমন্ত বিশ্বাস, সুশেন বাড়ই ও মালা বিশ্বাস প্রায় অভিন্ন সুরে জানান, এখানে তাদের জীবন এখন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তারা ছোট ছোট শিশু সন্তানদের নিয়ে বাঁচার জন্য যে কোন একটি কাজ চায়।
এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/এমসি