মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • লক্ষ্মীপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটের থাপ্পড়ে ছাত্রী হসপিটালে

লক্ষ্মীপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটের থাপ্পড়ে ছাত্রী হসপিটালে

লক্ষ্মীপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটের থাপ্পড়ে ছাত্রী হসপিটালে

লক্ষ্মীপুর, ০৫ অক্টোবর, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাসেল নামের এক ছাত্র সুলতানা আক্তার নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পড় দিয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

সুলতানা উপজেলার নুনীয়াপাড়া আলিম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় নারায়নপুর গ্রামের মুরাদের বাড়ির সামনে। ৮ম শ্রেণির ছাত্র উত্যক্তকারী রাসেল নুনীয়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের বখাটে ছেলে।

স্থানীয় ও ছাত্রীর পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলা ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নুনীয়াপাড়া আলিম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় একই ক্লাসের ছাত্র রাসেল তার সহপাঠী ফয়সাল, ফরহাদ ও জাহিদকে নিয়ে নারায়নপুর মুরাদের বাড়ির সামনে অবস্থান করে। পরে ওই ছাত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছার সাথে সাথে রাসেল পথরোধ করে সুলতানাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এসময় সুলতানা তাৎক্ষনিক ওই প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করলে রাসেল এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পড় দেয়। এক পর্যায়ে সুলতানা চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে পাশ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে রাসেল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।

রাসেলের মা সাজুদা বেগম জানান, ‘রাসেল ও সুলতানা একই ক্লাশে পড়ে। ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি উভয়ের পরিবারের লোকজন জানতে পেরে আলাদা আলাদা ভাবে দুজনকেই নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘটনার দিন রাসেল মেয়েটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে গালিগালাজ করলে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে চড় থাপ্পড় দেয়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দার জানান, ‘আমি তো ট্রেনিংয়ে আছি, তবে বিষয়টি জেনেছি ওয়ার্ড সিষ্টারের মাধ্যমে।’ হসপিটালের মহিলা ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিষ্টার মর্জিনা আক্তার জানান, ‘মেয়েটি সুস্থ্য হওয়ার পর তা বাবার মাধ্যমে সে বাড়ী চলে গেছে।’ ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য চেষ্টা চলছে।’

রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এবিএন/আবীর আকাশ/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত