মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo

রোহিঙ্গা ইস্যু : কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

রোহিঙ্গা ইস্যু : কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

ঢাকা, ০৭ অক্টোবর, এবিনিউজ : মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাংলাদেশের ভূমিকা বিষয়ে কানাডার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলের সিনেটে মানবাধিকার বিষয়ক এ কমিটির শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি সিনেটর জিম মানসন।

শুনানীতে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রসংশা করা হয়। সেই সঙ্গে অবিলম্বে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি কানাডার চাপ প্রয়োগের বিষয়টি আলোচিত হয়।রোহিঙ্গা ইস্যু : কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

শুনানিকালে সিনেট মানবাধিকার কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি মিয়ানমার কর্তৃক জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত ৫ দফা প্রস্তাবের কথা পুনর্ব্যক্ত করে হাই কমিশনার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব অনুসারে কফি আনান কমিশনের সুপারিশের আলোকে মিয়ানমারকে তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে তাদের দেশ তথা মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।’রোহিঙ্গা ইস্যু : কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

এ সময় হাইকমিশনের মিনিস্টার নাঈম উদ্দিন আহমেদ ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেয়ান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

নাঈম আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের সাথে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা বাঞ্ছনীয়। তাদরকে এ বিষয়ে বালাদেশের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে।’

পরে হাইকমিশনারের বক্তব্যের লিখিত কপি ‘সিনেট হিউম্যান রাইটস কমিটি’-এর চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পুরো শুনানি কানাডার সরকারি পার্লামেন্ট ভিউ টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

সভায় উপস্থিত থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন কমিটির ডেপুটি চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান, সিনেটর মারিলু ম্যাকফ্রেডান, সিনেটর ইয়োনাহ মার্টিন, সিনেটর থান হাই গো, সিনেটর রেইনেল অ্যান্ড্রিচুক ও সিনেটর রাতনা ওমিডভার।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপগুলোর মধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, বার্মিজ মুসলিমস ও রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার নেতারা শুনানিতে সাক্ষ্য দেন।রোহিঙ্গা ইস্যু : কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

‘বার্মিজ মুসলিমস অব কানাডা’র নেতা আহমেদ রামাদান বলেন, ‘এটি কেবল জাতিগত নির্মূল নয়, এক ভয়ঙ্কর গণহত্যা। এটা বন্ধ করতে কেবল নিন্দা জ্ঞাপন নয়, বরং কানাডাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।’

‘রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডা’র প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আরকানি রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুরতা ও হত্যাযজ্ঞের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দানের জন্য সমস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত এসব শুনানির আলোকে সিনেট মানবাধিকার কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত কানাডা সরকারকে জানাবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত