বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কুলাউড়ায় এক শিক্ষক কর্তৃক বীমা কর্মকর্তার বাসা দখলের চেষ্টা

কুলাউড়ায় এক শিক্ষক কর্তৃক বীমা কর্মকর্তার বাসা দখলের চেষ্টা

কুলাউড়ায় এক শিক্ষক কর্তৃক বীমা কর্মকর্তার বাসা দখলের চেষ্টা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ০৭ অক্টোবর, এবিনিউজ : কুলাউড়ার উত্তর মাগুরায় জীবন বীমা কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন ও তার মেয়ে উম্মে হাবিবা সূচীকে অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও অর্থ লুটের ঘটনায় ফেঁসে গেলেন ফরিদ উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ফাতেমা, শ্যালকদ্বয় নিজাম উদ্দিন ও প্রতাবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হক। ফরিদ উদ্দিনের মাগুরার বাসা নিজেদের দখলে নেওয়া ও নগদ অর্থ এবং স্বর্ণ লুটের জন্য ভাই বোন মিলে ঘটনার দিন রাতে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ২৩ আগষ্ট রাত্রে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সূচী ও সূচীর বাবা ফরিদ উদ্দিনকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে ঘটনাটি ডাকাতির ঘটনা হিসাবে পুলিশকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে ফাতেমা ঘটনা থেকে তার সম্পৃক্ততা আড়াল করার চেষ্টা করে ।

পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে ঘটনার মূল নায়িকা হিসাবে ফাতেমা এবং ফাতেমার দুই ভাই মূল পরিকল্পনাকারী আং হক ও নিজাম উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতার প্রমান পায় এবং তাদেরকে দোষী সাব্যস্থ করে ঘটনার ১ বৎসর পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার কোর্টে পুলিশ চার্জশীট প্রদান করে। ইতিপূর্বে ঘটনার নায়িকা ফাতেমা আক্তার(৩৮),শ্যালক নিজাম উদ্দিন(২৮) কারাবরন করে বর্তমানে জামিনে থাকলেও গত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী প্রতাবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আব্দুল হক গত ৩ অক্টোবর ৫ নং আমল আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক আব্দুল হকের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ঘটনার পর অজ্ঞান অবস্থায় বীমা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমদ(৬৫), কন্যা উম্মে হাবিবা সূচী(১৬)কে উদ্বার করে প্রথমে কুলাউড়া ও পরবর্তীতে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবং বেশ কিছুদিন ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয় সূচীকে। ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে কুলাউড়ায় মানব বন্ধনও পালিত হয়। পুলিশ অবশ্য ঘটনার মূল নায়িকা ফাতেমা আক্তার ও তার ভাই নিজাম উদ্দিনকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা ও নিজাম সম্পত্তির লোভে এ ঘটনাটি সাজিয়েছে বলে ঐ সময় পুলিশকে জানায় এবং আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

এ ঘটনায় ফরিদ উদ্দিন আহমদ এর ভাই বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় সাবেক স্ত্রী ও শ্যালককে আসামী করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন এবং এবং স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে তালাক প্রদান করেন। এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো:শামীম মূসা জানান, ঘটনায় আসামীদের সম্পৃক্তরার বিষয়টি স্বাক্ষী প্রমানে প্রমানিত হয়ে তাদেরকে দোষী সাব্যস্থ করে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে । এব্যাপারে ফরিদ উদ্দিনের পক্ষের আইনজীবি এড. বদরুল হোসেন ইকবাল জানান, গত ৩ অক্টোবর আদালতের বিচারক মামলার ৩ নং আসামী আব্দুল হকের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ প্রদান করেন। বাকি ২ জন আসামী ফাতেমা ও নিজাম বর্তমানে জামিনে আছেন।

এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত